সরকারি ও বেসরকারি দুধরণের হসপিটালেই নার্স ও ডক্টরদের করোনা সংক্রমণ

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , S. Datta Roy  :-   কলকাতা মেডিকেল কলেজের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিভাগের ৩ জন চিকিৎসক করোনাতে আক্রান্ত হয়েছে। তারপর থেকে ওই ডিপার্টমেন্টে রুগী ভর্তি বন্ধ করা হয়। এই ৩ জন জুনিয়র ডাক্তার প্রতিদিন গড়ে ৪০০ জন রুগীর দেখাশোনা করত। একই অবস্থা আরজিকর হসপিটালেরও। সেখানে মেডিসিন বিভাগে ২ জন জুনিয়র ডাক্তারের করোনা সংক্রমণ হয়ে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারা গড়ে প্রতিদিন ১৫০ রুগীর পরিষেবা দেয়। এই হসপিটালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার -এর নার্সেরও করোনা পজিটিভ আসে।

আরো পড়ুন :- করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করবে টিবি -র প্রতিষেধক

অন্যদিকে পার্কসার্কাসের ২ তো প্রাইভেট হসপিটালে ১২ জন নার্স আক্রান্ত হয়ে বাধ্য হয়ে ডিউটি অফ করে দেয়। পঞ্চসায়র এলাকায় হসপিটালে ৭০ জন নার্স কোয়ারান্টাইনে আছে বর্তমানে। ফলে হসপিটালের পরিষেবাও আপাতত বন্ধ আছে। এখনো পর্যন্ত রাজ্যে সব মিলিয়ে ১৬৯ জন মত চিকিৎসাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের সেবা করতে গিয়ে তাদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে অনেকেরই করোনা পজিটিভ আসছে।

আরো পড়ুন :- করোনার রিপোর্ট এখন রিয়্যাল টাইম -এর মাধ্যমেই তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে

চিন্তার কারণ এটাই যে এতে করে অন্যান্য রোগের চিকিৎসাতেও সমস্যা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিক করতে বলেন -সার্জারি ,মেডিসিন ,গাইনো ইত্যাদি ডিপার্টমেন্টে এক -একজন চিকিৎসক দিনে দেড়শো মতো রুগী দেখেন। দরকারে সেটা ২০০ হয়ে যায়। আইসোলেশন যাওয়া মানে সেই ডক্টরের রুগী দেখা বন্ধ হয়ে যাওয়া ,ফল হল প্রতিদিন এতজন করে রুগীর স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া। ডাক্তার নার্স সহ অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের যথাযথ সুরক্ষা না হলে অন্যান্য সব ধরণের রুগী পরিষেবাতেই যথেষ্ট সমস্যা দেখা দেবে। একজন ডাক্তার না নার্স অফ হয়ে যাওয়া মানে চিকিৎসার বিশাল ক্ষতি।

 

Highlights

  • কলকাতা মেডিকেল কলেজের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিভাগের ৩ জন চিকিৎসক করোনাতে আক্রান্ত হয়েছে।
  • আরজিকর হসপিটালেও  মেডিসিন বিভাগে ২ জন জুনিয়র ডাক্তারের করোনা সংক্রমণ হয়ে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
  • রাজ্যে সব মিলিয়ে ১৬৯ জন মত চিকিৎসাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

 করোনা     #   চিকিৎসা    #  ডাক্তার 

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন