পৌরাণিক মতে পৃথিবীতে আজও জীবিত “অষ্ট চিরঞ্জীবী’ ! জানুন অজানা কাহিনী

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব : ‘চিরঞ্জীবী’ শব্দকে ভাঙলে দুটো অংশ পাওয়া যায়। ‘চির’ ও ‘জীবী’। ‘চির’ মানে অনাদিকাল এবং ‘জীবী’র অর্থ, যারা বাস করছেন। চিরঞ্জীবী শব্দটির অর্থ, ‘যারা অনেকদিন ধরে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন’ হলেও পুরাণমতে চিরঞ্জীবীগণ পুরোপুরি অমর নন। এদের জীবনকাল এক কল্পকাল। অশ্বত্থামা, বলি, ব্যাস, হনুমান, বিভীষণ, কৃপা, পরশুরাম- এই সাতজন নিত্য চিরঞ্জীব। মার্কণ্ডেয় শিবের বরে চিরঞ্জীব হয়েছেন। প্রত্যেকেই শত বছরের অধিককাল বাঁচবেন এবং সর্বপ্রকার জরা-ব্যাধি থেকে মুক্ত।

১. মহাভারতের একজন যোদ্ধা অশ্বত্থামা। গুরু দ্রোণের পুত্র অশ্বত্থামা জন্মেছিলেন কপালে একটি মণি নিয়ে, যেটি ছিল তার পূর্বজন্মের পুণ্যের ফসল। পরাজিত দুর্যোধনের কাছে অশ্বত্থামা প্রতিজ্ঞা করেন, পাণ্ডবদের শেষ বংশধরকেও যেকোনো প্রকারে মেরে ফেলবেন। পাণ্ডবপুত্রদের হত্যা করার পরে তিনি তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের পুত্র অভিমন্যুর গর্ভবতী স্ত্রী উত্তরার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করতে তার গর্ভে ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করেন। এমন দুষ্কর্মের জন্য শ্রীকৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দিয়ে তার কপালের মণি কেটে নেন এবং তাকে মহাপ্রলয়ের আগপর্যন্ত নিকৃষ্ট জীবনের অভিশাপ দেন। চিরঞ্জীবীদের মধ্যে একমাত্র অশ্বত্থামাই অভিশাপগ্রস্ত হয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন।

আরও পড়ুন : প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করল মোদী সরকার !

২. দৈত্যরাজ বলি হিরণ্যকশিপুর প্রপৌত্র। হিরণ্যকশিপুর পুত্র বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদ এবং প্রহ্লাদের পুত্র বিরোচন। বিরোচনের পুত্র বলি। হিরণ্যকশিপুকে বিষ্ণু নৃসিংহ অবতার নিয়ে বধ করেছিলেন। হিরণ্যকশিপুর মৃত্যুর পরে তার পুত্র প্রহ্লাদকে সিংহাসনে বসিয়ে বিষ্ণু তাকে আশীর্বাদ করেন যে প্রহ্লাদের পরবর্তী চব্বিশ অধস্তন পুরুষকে বিষ্ণু রক্ষা করবেন। প্রহ্লাদের নাতি দৈত্যরাজ বলি রাজাসনে বসার পরে অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সিদ্ধান্ত নেন। নিয়ম ছিল, কোনো রাজা সফলভাবে এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পন্ম করলে তিনি দেবতাদের রাজা ইন্দ্র পদে অধিষ্ঠিত হবেন। যজ্ঞ করা থেকে বিরত করতে বিষ্ণু আবার একটি অবতার ধরেন। ব্রাহ্মণবেশে বামন অবতারে তিনি বলির যজ্ঞে গিয়ে উপস্থিত হন। ব্রাহ্মণদের উপহার দেওয়ার পালা শুরু হলে বামন বলির কাছে তিন পা রাখার মতো জমির আবদার করেন। ধার্মিক বলি খুশিমনে তা দিতে রাজি হন। তারপর বামন বিশাল আকার ধারণ করে এক পা স্বর্গে, এক পা পৃথিবীতে রেখে বলির কাছে তৃতীয় পা রাখার জায়গা চাইলে বলি নিজের মাথা পেতে দেন। বলির একাগ্রতা ও ভক্তিতে বিষ্ণু সন্তুষ্ট হয়ে বলিকে পাতালের রাজত্ব দান করেন।

৩. বেদব্যাস বেদকে চারভাগে ভাগ করেছিলেন বলে এর নাম হয় বেদব্যাস। ইনি মহাভারত ও শ্রীমদভগবত গীতার রচয়িতা। মহর্ষি পরাশর বেদব্যাসের পিতা এবং রামের কূলগুরু বশিষ্ঠ মুনি পিতামহ। বেদব্যাসের মা সত্যবতী, যাকে হস্তিনাপুরের রাজা শান্তনু বিয়ে করেছিলেন। বেদব্যাস পুরো ভরতবংশীয়দের কাহিনী এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কাহিনী মহাভারতে বর্ণিত করেন। গণেশ সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দীর্ঘায়ুর বর দেন। মহর্ষি ব্যাস বুদ্ধি ও জ্ঞানের প্রতীক। ভগবান বিষ্ণুও তাকে চিরঞ্জীবের বর দিয়েছিলেন।

৪. হনুমানকে বলা হয় শিবের অবতার। বানররাজ কেশরীর ঔরসে রানী অঞ্জনার গর্ভে হনুমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হনুমানের জন্মে বায়ুদেবতার ভূমিকা থাকায় এবং বায়ুদেবতার বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তাকে পবনপুত্রও বলা হয়। হনুমান জগতে রামভক্ত হিসেবে বিখ্যাত। মহাভারতে একবার হনুমানের উপস্থিতি দেখা যায়। ভীমকে যুদ্ধকলা শেখানোর উদ্দেশ্যে তিনি হাজির হয়েছিলেন। ত্রেতাযুগে জন্মানো হনুমান একাগ্রভাবে রামভক্তির কারণে রাম ও সীতা কর্তৃক অমর হওয়ার বর প্রাপ্ত হন। রামনাম করা হবে বা রামভক্তি প্রকটিত হবে, হনুমান সেখানেই গিয়ে বাস করবেন।

৫. বাংলা তথা আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যে বিভীষণকে বিশ্বাসঘাতক বলেই উল্লেখ করা হয়। কিন্তু রামায়ণে বিভীষণকে একজন ধার্মিক রাজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিভীষণ রামশিবিরে যোগ না দিলে রাবণকে হারানো খুব কঠিন হতো রামের পক্ষে। রাবণকে বধ করার পরে শ্রীরাম বিভীষণকে লঙ্কার রাজা ঘোষিত করেন। রাজা হয়ে বিভীষণ লঙ্কার প্রজাদের মাঝে ধর্মপ্রচারে ব্রতী হন। অসুরপ্রবৃত্তি থেকে সরিয়ে এনে ধর্মে মতি করেন লঙ্কার রাক্ষসদের। বিভীষণের ধার্মিকতা ও সততায় প্রসন্ন হয়ে রাম লঙ্কাত্যাগের পূর্বে তাকে অমরত্বের বর দান করেন।

৬. মহাভারতে যে কয়জন মহান গুরুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে কৃপ অন্যতম। তিনি গুরু দ্রোণাচার্যের শ্যালক ও অশ্বত্থামার মামা। ‘কৃপ’ অর্থ তীরের ডগা। ধার্মিক হওয়া সত্ত্বেও শুধু গুরুধর্ম পালনের জন্য কৃপাচার্য কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষাবলম্বন করেন। যুদ্ধ শেষে কৌরবপক্ষীয় যে তিনজন মহারথী বেঁচেছিলেন, তাদের মধ্যে কৃপাচার্য একজন। বাকি দুজন হলেন কৃতবর্মা ও অশ্বত্থামা। কৃষ্ণ পরীক্ষিতকে বাঁচানোর পরে কৃপের হাতে তার বিদ্যাশিক্ষার ভার দেন। কৃপ পরীক্ষিতকে শিক্ষিত করেন। দ্বারকার অন্ত হওয়ার পূর্বে শ্রীকৃষ্ণ কৃপাচার্যকে অমরত্বের আশীর্বাদ দিয়ে বলেন, শুধু দ্বাপরযুগেই নয় কলিযুগেও আপনাকে গুরুধর্ম পালন করতে হবে। কল্কি অবতারকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার দায়িত্ব আপনার।

আরো পড়ুন :- বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ধর্ম কোনটি ? কিভাবে বিস্তার হল ? জানুন অজানা তথ্য

৭. পরশুরামকে বলা হয় বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। পুরাণানুযায়ী, মানুষরূপে ভগবান অবতারিত হলে তাকে বলা হয় আবেশ অবতার। পরশুরাম ঋষি জমদগ্নির ঔরসে, মা রেণুকার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হলেও প্রবৃত্তিতে ছিলেন ক্ষত্রিয়। এজন্য তাকে বলা হয় ‘ব্রাহ্ম-ক্ষত্রিয়’। অন্যায়কারী ও আততায়ী ক্ষত্রিয়দের তিনি বধ করেন। তিনিও অমরত্ব লাভ করেছেন কলিযুগের শেষে কল্কিকে যুদ্ধকলায় পারদর্শী করার জন্য। পরশুরাম হবেন কল্কির প্রধান গুরু।

৮. অন্যান্য চিরঞ্জীবীগণের চেয়ে মার্কণ্ডেয় ঋষির গল্পটি একটু আলাদা। মার্কণ্ডেয়র পিতার নাম মৃকান্ডু ও মাতার নাম মারুদমতি। সন্তানের আয়ু হবে পূর্বনির্ধারিত- ষোলো বছর। এটি জানার পরে মার্কণ্ডেয় শিবের তপস্যা শুরু করেন। বালক ঋষি তপস্যায় এতই লীন হতেন যে শিবলিঙ্গ জড়িয়ে ধরে জপ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তেন। মার্কণ্ডেয়র মৃত্যুর সময় হলে যমদূতরা এসে তার সামনে হাজির হয়। কিন্তু তার তপের প্রভাবে যমদূতেরা তার ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না। শেষে স্বয়ং যমরাজ মহিষে চড়ে সে স্থলে হাজির হন। তিনি তার ধর্মপাশ, যেটি কারো উপর পড়লে মৃত্যু অবধারিত- তা মার্কণ্ডেয়র উপর ফেলতে গিয়ে ভুলক্রমে শিবলিঙ্গে ফেলেন। শিব এতে প্রচণ্ড ক্ষেপে যান। ভক্তকে রক্ষার জন্য স্বয়ং এসে হাজির হন। যমের দিকে ত্রিশূল উঁচিয়ে ধরলে যম ভয় পেয়ে যান। মার্কণ্ডেয়কে দীর্ঘায়ুর বর দিয়ে তাড়াতাড়ি স্থানত্যাগ করেন যমরাজ। মহাদেবও মার্কণ্ডেয়কে আশীর্বাদ করেন। #End

রো পড়ুন :- গাজা দখল করবে ইজরায়েল ? জোর গুঞ্জন বিশ্ব জুড়ে

আরো পড়ুন :- গাজার ক্ষমতা কার হাতে ? ইহুদি নাকি ইসলামের হাতে ?

আরো পড়ুন :- ‘নীতীশের খাবারে মেশানো হচ্ছে বিষ, তাই অসংযত কথা বলছেন ‘

আরো পড়ুন :- যানজটের সমস্যা মেটাতে এয়ার ট্যাক্সি আনছে ইন্ডিগো !

avilo homeআরো খবরের জন্য নীচের ছবিতে ক্লিক করুন

https://twitter.com/study14522/status/1722340117631971496?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1722340117631971496%7Ctwgr%5Ea6d70275813dd16bf3aa2f191cb3dea1ebff11cb%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.banglanewsdunia.com%2Fcountry%2Fe0a69ce0a6bee0a6a4e0a6bfe0a6b8e0a682e0a698e0a787-e0a687e0a6b8e0a6b0e0a6bee0a6afe0a6bce0a787e0a6b2e0a787e0a6b0-e0a6ace0a6bfe0a6b0e0a781%2F

 

 

https://twitter.com/study14522/status/1701200081574392280?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1701200081574392280%7Ctwgr%5E7dbb879cdd362f1d12218eab9cc320ff915fc0e1%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fpublish.twitter.com%2F%3Fquery%3Dhttps3A2F2Ftwitter.com2Fstudy145222Fstatus2F1701200081574392280widget%3DTweet

 

https://twitter.com/study14522/status/1704002217832026567?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1704002217832026567%7Ctwgr%5Ea6d70275813dd16bf3aa2f191cb3dea1ebff11cb%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.banglanewsdunia.com%2Fcountry%2Fe0a69ce0a6bee0a6a4e0a6bfe0a6b8e0a682e0a698e0a787-e0a687e0a6b8e0a6b0e0a6bee0a6afe0a6bce0a787e0a6b2e0a787e0a6b0-e0a6ace0a6bfe0a6b0e0a781%2F

 

https://twitter.com/study14522/status/1704094103859077365?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1704094103859077365%7Ctwgr%5Ea6d70275813dd16bf3aa2f191cb3dea1ebff11cb%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.banglanewsdunia.com%2Fcountry%2Fe0a69ce0a6bee0a6a4e0a6bfe0a6b8e0a682e0a698e0a787-e0a687e0a6b8e0a6b0e0a6bee0a6afe0a6bce0a787e0a6b2e0a787e0a6b0-e0a6ace0a6bfe0a6b0e0a781%2F

 

https://twitter.com/study14522/status/1713075469892079832?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1713075469892079832%7Ctwgr%5Ea6d70275813dd16bf3aa2f191cb3dea1ebff11cb%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.banglanewsdunia.com%2Fcountry%2Fe0a69ce0a6bee0a6a4e0a6bfe0a6b8e0a682e0a698e0a787-e0a687e0a6b8e0a6b0e0a6bee0a6afe0a6bce0a787e0a6b2e0a787e0a6b0-e0a6ace0a6bfe0a6b0e0a781%2F

 

 

আরও পড়ুন : জানেন কিভাবে উৎপত্তি হল ভারত ভূমির ?

আরো পড়ুন :- ভারতের কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু ? কোথায় বেশি মুসলিমরা ? দেখুন তথ্য পরিসংখ্যান

আরো পড়ুন :- পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের ইতিহাস জানেন ? না জানলে জেনে নিন

আরো পড়ুন :- জানেন ভারতের পূর্বনাম কি ছিল ? কিভাবে এল আর্যরা ? জানুন অজানা ইতিহাস

আরও পড়ুন : পুজোর মুখে রাজ্যে আঘাত হানতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়

আরও পড়ুন : শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি

আরো পড়ুন :- এই কারণে বৈশাখীর প্রেমে পড়েছিলেন শোভন ?

বিশেষ দ্রষ্টব্য :- ” আমাদের কাছে আপনার ও আপনার সময়ের দাম রয়েছে , তাই আমরা আমাদের লাভের জন্য অযথা খবর বড় করি না , আমরা দিয়ে থাকি আপনাদের পয়েন্টের খবর। যাতে আপনার সময় নষ্ট না হয়। আমাদের এই শর্ট নিউজ আপনাদের কেমন লাগছে তা নিচে কমেন্টে জানান। যদি এই রকম শর্ট নিউজ আরো বেশি করে দেখতে চান তবে like করুন ও কমেন্টে YES লেখে আমাদের জানান। আর অবশই আমাদের পাশে থাকতে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন।” ‘ধন্যবাদ’

আরো পড়ুন :- বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি কিভাবে ? কে ছিলেন প্রথম মানব ? জানুন অজানা তথ্য

আরো পড়ুন :- কলকাতায় হচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দির ! দেখতে যাবেন নাকি

আরো পড়ুন : জানুন ছেলেদের জন্য কন্ডোম কতটা নিরাপদ ?

আরও পড়ুন : আদিকাল থেকে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে বহু ধর্ম ! জানুন এমন বৃহৎ ১০টি ধর্ম সম্পর্কে

এই রকম আরো খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন