Aadhaar Card Update: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার এই যুগে, আধার কার্ড প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য নথি হয়ে উঠেছে। ১২-সংখ্যার ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সহ এই কার্ডটি পরিচয় এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসাবে কাজ করে। ব্যাঙ্কিং, সরকারি সুবিধা, ভর্তুকি, পেনশন, স্কলারশিপ এবং সিম কার্ড সহ শত শত পরিষেবার জন্য এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, আধার সম্পর্কিত প্রতিটি খবরই আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে, কিন্তু তথ্য যাচাই না করে এই ধরনের দাবি বিশ্বাস করা ক্ষতিকর হতে পারে।
সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল খবর মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ভাইরাল হওয়া পোস্টে দাবি করা হয় যে, আধার কার্ডে আর স্বামী বা বাবার নাম থাকবে না। অনেক ব্যবহারকারী স্ক্রিনশট এবং ভিডিও শেয়ার করে দাবি করেন যে UIDAI এখন থেকে স্বামী বা বাবার নামের কলামটি সরিয়ে দিয়েছে। এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগের জন্ম হয়।
ভাইরাল খবরের সত্যতা কী?
এই ভাইরাল দাবির তদন্ত করা হলে জানা যায় যে খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে যে UIDAI এই বিষয়ে কোনো ঘোষণাই করেনি। UIDAI-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে এই ধরনের কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি। হেল্পলাইনে যোগাযোগ করা হলে, একজন কর্মকর্তা স্পষ্ট করে দেন যে এই ধরনের কোনো পরিবর্তন কার্যকর করা হয়নি এবং এই দাবির মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। সাধারণ মানুষকে এই ধরনের ভিত্তিহীন গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
UIDAI ঠিক কী বলেছে?
UIDAI-এর একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে আধার কার্ডে “কেয়ার অফ” (C/O) কলামটি ঐচ্ছিক। এর মানে হল যে ব্যক্তিরা তাদের নথিতে তাদের মা, বাবা বা স্ত্রীর নাম যোগ করতে পারেন, তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। ব্যক্তিরা চাইলে “C/O” বিকল্পটি ফাঁকা রাখতে পারেন।
এর অর্থ এই নয় যে স্বামী বা বাবার নাম সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা হয়েছে, বরং এটি এখন সম্পূর্ণভাবে আবেদনকারীর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ, আপনি যদি চান তাহলে আগের মতোই আপনার বাবা বা স্বামীর নাম যোগ করতে পারবেন, আর না চাইলে সেই জায়গাটি ফাঁকাও রাখতে পারবেন।
সুতরাং, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর এটি স্পষ্ট যে আধার কার্ডে স্বামী বা বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে যে ভাইরাল খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। UIDAI এই ধরনের কোনো ঘোষণা বা পরিবর্তন করেনি। তাই, যেকোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে সর্বদা অফিসিয়াল সূত্র থেকে যাচাই করে নেওয়া উচিত।












