Aadhaar Citizenship: ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা এবং আধার কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট করেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বক্তব্য অনুযায়ী, আধার কার্ডকে পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও এটি নাগরিকত্ব বা জন্মস্থানের প্রমাণ নয়। এই ঘোষণার পাশাপাশি ভোটার আইডি কার্ড (EPIC) এবং ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়েও নতুন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন যে, বিহারে ইতিমধ্যেই নতুন EPIC কার্ড ইস্যু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যেখানে ভোটারদের নাম, ঠিকানা বা ভোটকেন্দ্রের মতো তথ্যে পরিবর্তন এসেছে। এই মডেলটি সারা দেশেই অনুসরণ করা হবে, যাতে ভোটারদের তথ্য সবসময় আপ-টু-ডেট থাকে।
ভোটার তালিকা মেলানো এবং লিঙ্ক করার প্রক্রিয়া
নির্বাচন কমিশন ভোটারদের জন্য পুরনো তালিকা দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ বা বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এখন voters.eci.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে ২০০২, ২০০৩ এবং ২০০৪ সালের ভোটার তালিকা দেখতে পারবেন।
এই প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ:
- প্রথমে রাজ্য এবং তারপর জেলা নির্বাচন করতে হবে।
- এরপর নির্দিষ্ট নাম দিয়ে সার্চ করে লিঙ্ক বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বাবা-মা লখনউয়ের বাসিন্দা হন এবং আপনি দিল্লিতে থাকেন, তবে আপনাকে প্রথমে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য, তারপর লখনউ জেলা নির্বাচন করে তাঁদের নাম খুঁজে লিঙ্ক করতে হবে।
কমিশনের মতে, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এই প্রক্রিয়াটিকে অত্যন্ত সহজ করে তুলেছে যাতে সাধারণ মানুষ কোনো অসুবিধা ছাড়াই এটি ব্যবহার করতে পারেন।
আধার কার্ডের আইনি বৈধতা
আধার কার্ডের ব্যবহার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে বলে কমিশন জানিয়েছে। আধার আইন অনুযায়ী, এর ব্যবহার নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার যা স্পষ্ট করেছেন:
- নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়: আধার আইনের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আধার কার্ড কোনোভাবেই নাগরিকত্ব বা স্থায়ী ঠিকানার (domicile) প্রমাণপত্র নয়।
- জন্মতারিখের প্রমাণ নয়: একাধিক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে, আধার কার্ডকে জন্মতারিখের প্রমাণ হিসেবেও গণ্য করা যায় না।
- পরিচয়পত্র মাত্র: আধার কার্ড শুধুমাত্র একটি পরিচয়পত্র (Proof of Identity) এবং ই-সাইনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
এখন যদি আপনি UIDAI-এর ওয়েবসাইট থেকে নতুন আধার কার্ড ডাউনলোড করেন, সেখানেও স্পষ্টভাবে লেখা থাকে যে এটি নাগরিকত্ব, জন্মস্থান বা জন্মতারিখের প্রমাণ নয়।
পশ্চিমবঙ্গ সংক্রান্ত কোনো অচলাবস্থার কথা উড়িয়ে দিয়ে কমিশন জানিয়েছে যে, সংবিধান অনুযায়ী সমস্ত সাংবিধানিক সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। বিহারে অনুষ্ঠিত স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা সারা দেশে ভোটারদের আরও ভালো সুবিধা দেওয়ার জন্য কাজে লাগানো হবে।














