Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : প্রত্যেক মানুষ যতটা সম্ভব উপার্জন করা যায়। কৃষকদেরও সঠিক সাহায্য ও ধারণা দেওয়া যায়, তাহলে তারাও ভালো লাভ করতে পারে। ভারতের অধিকাংশ কৃষক শাকসবজি, ফল ও শস্য ইত্যাদি চাষ করেন। আজ প্রতিবেদনে ফসল নয় , গাছের চাষ সম্পর্কে বলব। যা চাষ করে আপনি ভবিষ্যতে আয় করতে পারবেন। শুধু একটু ধৈর্যের প্রয়োজন এবং আপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে প্রমাণিত হবে। তাহলে আসুন এই গাছগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন —-
১. গামার দ্রুত বর্ধনশীল গাছ। ভারত ছাড়াও এটি বিদেশে পাওয়া যায়, যেমন কম্বোডিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে এর পরিমাণ অনেক বেশি। পাতা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আলসারের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুবই উপকারী।
চাষের খরচ —–
১ একর জমিতে ৫০০ টি চারা রোপণ করা যায়।যদি গামার গাছ চাষের খরচের কথা বলি, তাহলে এতে মোট খরচ হয় ৪০-৫৫ হাজার।গামার গাছগাছ চাষে আয়ের কথা বললে, কাঠের মানের উপর নির্ভর করে গাছের দাম কত হবে।
২. চন্দন গাছ চাষে এত লাভ, যতটা আপনি সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে পাবেন না। আপনি যদি ১৫-২০ বছরের জন্য কোনও স্কিমে এত টাকা বিনিয়োগ করেন তবে আপনি এত সুবিধা পাবেন না। এটি রোপণের পর, এর কাঠ ৫ বছর থেকে বাড়তে শুরু করে। এর কাঠ প্রায় ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। প্রায় ৪০ কেজি ভালো কাঠ বের করা যায়।
চন্দন চাষের খরচ —-
১ একর চন্দনে ৫০০ গাছ লাগানো যায়। যদি চন্দন গাছ চাষে খরচের কথা বলি তাহলে এতে মোট খরচ হয় ৪০-৬০ হাজার।
৩. কয়েক বছর ধরে দেশের বনাঞ্চলে সেগুন কাটা এত দ্রুত হয়েছে এখন বনাঞ্চলে এসব গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যেখানে সেগুন কাঠের গুণগত মান এতই ভালো যে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেগুন গাছের জীবনকাল ২০০ বছরেরও বেশি হয়।
সেগুন গাছ চাষের খরচ —–
১ একর সেগুনে ৪০০ টি গাছ লাগানো যায়।যদি সেগুন গাছ চাষে খরচের কথা বলি তাহলে এতে মোট খরচ হয় প্রায় ৪০-৪৫ হাজার। ৪০০ টি গাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল