Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : বাড়িতে ছোট্ট বাগান করে ফুলের চাষ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। টবে ফুল চাষ বহু সৌখিন মানুষ ছাদে করেও থাকেন। উপযুক্ত জমি না থাকার জন্য টবে ফুল চাষ করেন। যেমন বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়, তেমন বাড়ির পরিবেশও ভালো থাকে। টবে ফুল চাষের সুবিধাও রয়েছে, রয়েছে বিভিন্ন অসুবিধা। বহু মানুষ আনন্দের সঙ্গে টবে ফুল চাষ করে থাকেন। জেনে নেওয়া যাক, টবে ফুল চাষের গুরুত্ব এবং বিভিন্ন কি কি ?
টবে সব সময় মৌসুমী ফুলের চাষ করা উচিত। বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ টবে চাষ না করে ভালো।রোদ পেলে তবে ফুল গাছের চাষ খুবই ভালো হয়। আগের থেকে পরিকল্পনা করে টবে ফুল চাষ করা উচিত।
টবের জন্য উপযুক্ত ফুলগাছ কি কি ?
টবের উপযুক্ত ফুল গাছ রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী, গন্ধরাজ, দোপাটি, জিনিয়া প্রভৃতি। বর্ষাকালে জুঁই,হাইড্রেঞ্জিয়া, বেলি, চাঁপা প্রভৃতি ফুল গাছের চাষ ভালো হয়। শীতকালে গাঁদা, গোলাপ, ক্যামেলিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কারনেশন উত্তম ভাবে করা যায়। গোটা বছর ধরে ফুল চাষ করতে হলে কাঞ্চন, জবা, কামিনী, করবী, অলকানন্দা, জয়তী, হাজারপুটিয়া, নয়নতারা, সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামণির কোনও বিকল্প নেই। দীর্ঘস্থায়ী হিসেবে জুঁই, গোলাপ, জবা, করবী, গন্ধরাজ, কাঞ্চন, কুন্দ, চাঁপা, মুসেন্ডা, কামিনী, স্থলপদ্ম, ক্যামেলিয়া, টগর, শিউলি ফুল চাষের জন্য উপযুক্ত।
গাছের পরিচর্যা কিভাবে করবেন ?
মৌসুমী ফুলের ক্ষেত্রে মাসখানেক বয়সের ফুলের চারা টবে রোপণ করা উচিত। চারা লাগানোর পর আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে গোড়ার মাটি শক্ত করে দিতে হবে। লাগানোর পর গোড়ায় জল দিতে হবে। গাছকে খাড়া রাখার জন্য অবলম্বনের প্রয়োজন হয়। বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করা যেতে পারে। টবে গাছের গোড়ার মাটি একেবারে গুড়ো না করে চাকা চাকা করে খুঁচে দেওয়া ভালো।
যখন গাছে ফুলের কুঁড়ি আস্তে শুরু করে তখন ১০০ গ্রাম ইউরিয়া (সাদা সার), ৫০ গ্রাম টিএসপি (কালো সার) ও ৫ গ্রাম এমওপি (লাল সার) একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতি গাছে এক চা-চামচ করে ১০ দিন বাদে বাদে দিতে হবে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল