Bangla News Dunia, সারদা দে :- ওল কচু মাটির নিচে উৎপন্ন একটি সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। এই পুষ্টিকর সবজিটি রান্না করে তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। আজ আমরা আপনাদের সাথে ওল কচু চাষের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
জলবায়ু ও মাটি:
ওল কচু চাষে দোআঁশ, বেলে দোআঁশ, ইটেল দোআঁশ ইত্যাদি মাটি নির্বাচন করতে হয়। মাটিতে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মাটিতে কোনো ছায়া থাকতে পারবে না. এই সবজি ছায়ায় ভালো হয় না। গাছের ভাল বৃদ্ধির জন্য তাপমাত্রা 25-35 ডিগ্রী এবং বার্ষিক বৃষ্টিপাত 100-150 সেমি উপযুক্ত।
রোপণের সময়:
ওল কচুর চারা রোপণের উপযুক্ত সময় মধ্য মাঘ থেকে ফাল্গুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত চাষ করা যায়। কিন্তু রোপণের পর ফলন ভালো হয় না।
জমি তৈরি এবং চারা রোপণ
জমি প্রস্তুত করতে জমি চাষ করে মই দিয়ে নিতে হয়। মাটি আলগা করতে হবে আর জমি আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। গোড়ার চার পাশে মাটি চাপা দিতে হবে। চারা রোপণের সময় একটি সামান্য বড় জাত নির্বাচন করা উচিত। জাত বড় হলে ফলন ভালো হয়। ছাড়া ছোট হলে 40-50 সেমি দূরত্বে এবং মাঝারি হলে 60-70 সেমি দূরত্বে রোপণ করতে হবে। আকারে বড় হলে ১-১.৫ মিটার দূরত্বে রোপণ করতে হবে।
বীজ বপনের পদ্ধতিঃ
ওলের বীজকে কিছুক্ষণ রোদে গরম করে রাখলে অঙ্কুরোদগম ভালো হয়। বীজ বপনের আগে পরিষ্কার করা উচিত। লাঙ্গল দিয়ে সারি তৈরি করুন এবং তারপর নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী বীজ বপন করুন। গর্তের আকার বীজের আকারের চেয়ে বড় হওয়া উচিত।
সার প্রয়োগ:
ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করতে হবে। জমিতে চারা গজানোর 20-25 দিন পর প্রতি শতকে 0-5 কেজি গোবর সার এবং 0.3 কেজি ইউরিয়া মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। সার প্রয়োগের পরিমাণ গর্তের সংখ্যার উপর নির্ভর করে। বাকিটা সেই গর্তে দিতে হবে যেখানে বীজ বপন করা হবে। ইউরিয়া সার দুই কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি বপনের 60-65 দিন পরে এবং দ্বিতীয় কিস্তি 110-115 দিন পরে।
রোগ ও নিয়ন্ত্রণঃ
ওল কচু চাষে তেমন কোনো রোগবালাই নেই। তবে এর ফলে পাতা ও কাণ্ডে পচা রোগ হতে পারে। এর জন্য ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে। গাছের গোড়া পচা রোগ ফসলের ক্ষতি করে। এটি থেকে রক্ষা করার জন্য বীজগুলিকে অবশ্যই বিশুদ্ধ করতে হবে। ওল কচু জমিতে কলার পচা নামক আরেকটি রোগ দেখা যায়। এই রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। Vitavax 200 প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম মিশিয়ে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। তারপর জল দেওয়ার যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে লাগাতে হবে।