Bangla News Dunia, Pallab : ভারতীয় ব্যাংকিং ক্ষেত্রে UPI ব্যবহার ও অন্যান্য আরো বিভিন্ন ট্রানজেকশনে আসছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১লা এপ্রিল থেকে সারাদেশে কার্যকর হতে চলেছে নতুন কিছু ব্যাংকিং নিয়ম, নতুন এই নিয়মটি সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সবার দৈনন্দিন ইউপিআই থেকে শুরু করে অন্যান্য আরো অনলাইন পদ্ধতি এবং অফলাইন ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে ও লেনদেনের ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাবিত করবে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) নতুন নির্দেশিকায় এটিএম লেনদেন, UPI ব্যবহার, সেভিংস অ্যাকাউন্টের শর্তাবলী থেকে শুরু করে ডিজিটাল ব্যাংকিং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন ও নিরাপত্তায় আসছে বড়সড় রদবদল। আপনি যদি একজন ভারতীয় গ্রাহক হয়ে থাকেন এবং ব্যাংক একাউন্ট থেকে থাকে বা লেনদেন করে থাকেন যে কোন মাধ্যমে তাহলে অবশ্যই এই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জানা এখন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন : এপ্রিল মাসে বদলে যাচ্ছে ব্যাংকের এই নিয়মগুলি, না জানলে পড়তে হতে পারে বিপদে
এটিএম লেনদেনে নতুন নিয়ম:
আপনার কাছে যদি এটিএম থেকে থাকে তাহলে এটিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আসছে বিরাট বড়সড়ো কঠোর নিয়ম। নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে মাসে মাত্র তিনবার বিনামূল্যে অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করা যাবে। আপনি যদি তিনবারের বেশি লেনদেন করেন তাহলে চতুর্থবার থেকে প্রতি লেনদেনে ২০-২৫ টাকা অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। এই চার্জ ব্যাংক পিছু আলাদা আলাদা হতে পারে। তবে আপনার যে ব্যাংকের এটিএম কার্ড আপনি যদি সেই ব্যাংকের এটিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে ব্যাংকগুলির অপারেশনাল খরচ কমানোর চেষ্টা।
সেভিংস অ্যাকাউন্টের ন্যূনতম ব্যালেন্স নীতি:
বিভিন্ন ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট থাকলে সেখানে টাকা রাখার ক্ষেত্রেও বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে আরবিআই এর তরফ থেকে। বিভিন্ন ব্যাংক তাদের ন্যূনতম ব্যালেন্স নীতি পুনর্বিবেচনা করেছে। RBI এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী সেভিংস একাউন্টে যে নূন্যতম ব্যালেন্স রাখতে হবে :
মেট্রো শহরগুলোতে: ৫,০০০ টাকা
অন্যান্য শহরাঞ্চলে: ৩,০০০ টাকা
গ্রামীণ এলাকায়: ১,০০০ টাকা
তবে এই নির্ধারিত ব্যালেন্স এর চেয়ে যদি আপনার একাউন্টে কোন ব্যালেন্স থাকে তাহলে প্রতি মাসে আপনাকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
UPI লেনদেনে বড় পরিবর্তন:
যদি কোন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে UPI ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে অ্যাকাউন্টগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে। যদি কারো UPI আইডি পরপর ১২ মাস ব্যবহার না করা হয়, এবং UPI এর মাধ্যমে যদি কোন লেনদেন না করা হয় তাহলে তা ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে। এরপর যদি আবার ওই আইডিটি কেউ নতুন করে ব্যবহার করতে চায় তাহলে ব্যাংক শাখায় গিয়ে পুনরায় এক্টিভেশন করতে হবে। বর্তমান দিনে দেখা যাচ্ছে UPI এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি দেখা যাচ্ছে । বিশেষ করে RBI এর তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অব্যবহৃত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্ভাব্য জালিয়াতি রোধ করতে।
আরো পড়ুন : কিভাবে ফ্রিতে গুগল সার্টিফাইড কোর্স করবেন? বিস্তারিত জেনে নিন