Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রে, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এই দিনেই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন দেবকী ও বাসুদেবের অষ্টম সন্তান শ্রী কৃষ্ণ। বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসেবে তিনি পূজিত হন। সারা দেশেই পালিত হয় জন্মাষ্টমী। আজ গোবিন্দের আরাধনায় মাতবেন দেশবাসী। এই দিনে যদি নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা করা হয়।জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। কী সেই নিয়ম?
একটি হলুদের গাঁট নিয়ে তা হলুদ কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে গোবিন্দের চরণে দিন। পুজো সম্পন্ন হলে তা টাকা রাখা স্থানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। সংসারে অর্থকষ্ট হয় না। ময়ূয়ের পালক শ্রী কৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে ময়ূরের পালক আনা শুভ বলে মনে করা হয়।
হলুদ রঙের ফুল দিয়ে পুজো করলে তিনি তুষ্ট হবেন আর মনের কামনা পূর্ণ হবে। কৃষ্ণের চরণে পদ্মফুল অর্পণ করুন। আপনার সংসারের সমৃদ্ধি বজায় থাকে। তালের বড়া, মালপোয়া, লাড্ডু, সন্দেশ – জন্মাষ্টমীতে ভোগই দেওয়া হয়। নিজের রাশি মেনেও ভোগ নিবেদন করতে পারেন। আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে।
মেষ রাশির মানুষজন গোমাতাকে মিষ্টি খাওয়াবেন।
দুধ, দই ও রসগোল্লা বৃষ রাশির জাতকরা দেবেন।
মিথুন রাশির জাতকরা গোবিন্দকে নকুলদানা দিতে পারেন। গোমাতাকে পালং শাক কিংবা ঘাস খাওয়ালে ভাল।
শ্রী গোপাল মাখন ও মিছরি খেতে ভালবাসেন। তা দিয়েই ভোগ সাজান কর্কট রাশির মানুষজন।
সিংহ রাশির জাতকরা দিন ৫ রকমের ফল। তাতে বেলও রাখতে পারেন।
কন্যা রাশির কেশবকে কেশরযুক্ত দুধ উৎসর্গ করুন।
কালাকাঁদ ও সন্দেশ দিতে ভোগ দিন তুলা রাশির মানুষজন।
নকুলদানা, মেওয়া গোপালকে দিতে পারেন বৃশ্চিক রাশির জাতকরা।
কেশর মেশানো আমন্ড পুডিং দিতে পারেন ধনু রাশির মানুষজন।
মকর রাশির জাতকরা ধনে ও পোস্ত দিয়ে চক্রপাণীর আরাধনা করতে পারেন।
সুগন্ধী ধূপ জ্বালিয়ে কুম্ভ রাশির মানুষদের কেশবের আরধনা করা উচিত। মিষ্টিও দেবেন।
মীন রাশির জাতকরা কলা, জিলিপি দিয়ে গোবিন্দকে ভোগ দিতে পারেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল