Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : গণেশের অপর নাম সিদ্ধিদাতা বা বিঘ্নহর্তা। আবার তিনি বুদ্ধির দেবতা, তাঁর পুজো করলে ব্যাক্তি বুদ্ধির অধিকারী হওয়া যায়। ভাদ্র মাসের চতুর্থী তিথিতে গণপতি উৎসব পালিত হয়। গণেশ চতুর্থীর দিন যারা নিজের বাড়িতে নিয়ম-নীতি মেনে গণেশ পুজো করেন, সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। কিছু প্রার্থনা করলে গণেশ প্রসন্ন হয়ে তা পূরণ করেন। কোনও কারণে দুশ্চিন্তিত থাকেন ও শান্তি লাভ করতে না-পারেন, তা হলে গণেশ মন্ত্র পাঠ করা উচিত। এই পাঠ শান্তি প্রদান করে।
গণেশ চতুর্থীর দিন গণেশ যন্ত্র স্থাপিত করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। এই যন্ত্র বাড়িতে স্থাপন করলে ধনাত্মক শক্তির সঞ্চার হয়। কোনও অশুভ শক্তিও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না।
গণেশ চতুর্থীর দিন হাতিকে সবুজ ঘাস খাওয়ানো উচিত। এতে গণেশ, আপনার ওপর ক্রমাগত আসতে থাকা সমস্যা দূর করেন ও সমস্ত সংকট থেকে রক্ষা করেন। মন্দিরে গিয়ে গণপতি দর্শন ও প্রার্থনা করা উচিত।
আর্থিক সমস্যা দূর করার জন্য গণেশকে শুদ্ধ ঘি ও গুড়ের ভোগ দেওয়া উচিত। ভোগের গুড় ও ঘি গোরুকে খাইয়ে দিন। এর ফলে আর্থিক সমস্যা দূর হতে শুরু করবে ও অর্থ সঞ্চয় সম্ভব হবে। ব্যবসা বা চাকরিতে উন্নতির জন্য গণেশ চতুর্থীর দিনে হলুদ রঙের প্রতিমা নিজের বাড়িতে নিয়ে আসুন। তাঁর পুজো করে গোটা হলুদ অর্পণ করুন। অর্পণ করার সময়ে ‘শ্রী গজবকত্রম নমো নমঃ’ মন্ত্রের জপ করুন। ১০৮টি দূর্বার গাঁঠে ভেজা হলুদ লাগিয়ে গণেশকে অর্পণ করুন। এই রীতি পালন করলে উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়।
বিবাহে বাধা এলে বা বিয়ের জন্য কোনও সুযোগ্য পাত্র বা পাত্রী না-পেলে, ২১টি গুড়ের টুকরো ও দূর্বা গণেশকে অর্পণ করা উচিত। বিয়ের পথে আগত বাধা দূর হয় ও শীঘ্র বিয়ের যোগ সৃষ্টি হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল