Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : দুর্গাপুজো ও নবরাত্রির আনন্দে মেতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ সমগ্র ভারত। দুর্গাকে প্রসন্ন করে মনোস্কামনা পূরণে কোনও খামতি রাখছেন না কেউই। এই সময় দুর্গার আরাধনা করলে ভয়, বাধা, বিঘ্ন ও শত্রু নাশ হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি আসে। বাস্তু দোষ নিবারণের জন্য দুর্গাপুজোর সময় কিছু উপায় করতে পারেন। দেখুন এক নজরে ——
১. বাস্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী মানসিক অস্পষ্টতা ও প্রজ্ঞার দিশা ক্ষেত্র উত্তর-পূর্ব কোণকে পূজার্চনার জন্য শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়। দুর্গার আরাধনা করলে বাড়িতে ব্যাপ্ত সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।
২. ঘটের মধ্যে সমস্ত গ্রহ, নক্ষত্র ও তীর্থের বাস। বাস্তু অনুযায়ী ইশান কোণকে জল এবং ঈশ্বরের স্থান মনে করা হয়। সর্বাধিক ইতিবাচক শক্তি বিদ্যমান। এই স্থানে ঘট রাখলে বাস্তু দোষ দূর হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।
৩. দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিককে দুর্গার ক্ষেত্র মনে করা হয়। তাই পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মুখ করে পুজো করা উচিত। আবার দক্ষিণ দিকে মুখ করে পুজো করলে ভক্তের মন এবং পারিবারিক কলহ শান্ত হয়।
৪. দুর্গা পুজোয় বাড়ির প্রবেশদ্বারে আম বা অশোকের পাতা লাগালে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। তবে এই পাতা শুকিয়ে গেলে শীঘ্র সরিয়ে দিন।
৫. বাড়িতে দুর্গা পুজোর সময় দক্ষিণ পূর্ব দিকে অখণ্ড প্রদীপ রাখা শুভ। আগ্নেয় কোণের বাস্তু দোষ দূর হয় এবং আটকে থাকা টাকা লাভ করা যায়। আগ্নেয় কোণে প্রদীপ রাখলে শত্রুদের পরাজিত করা সম্ভব হয় এবং পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির বাস হয়।
৬. ঠাকুরঘরে শুদ্ধ ঘিয়ের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ হয়। অশুভ শক্তি দূর হয় এবং বাড়ির সদস্যরা প্রসিদ্ধি লাভ করে। এর প্রভাবে রোগ ও কলহের অবসান ঘটে।
৭. ঠাকুর ঘরের দরজায় হলুদ, সিঁদূর বা রোলী দিয়ে দুদিকে স্বস্তিক বানালে দুর্গার আশীর্বাদ লাভ করা যায়। আশপাশের পরিবেশ শুদ্ধ ও পবিত্র হয়ে মন এবং মস্তিষ্কে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
৮. বাস্তু মতে নবরাত্রিতে কুমারী কন্যাদের দুর্গার স্বরূপ মনে করা হয়। তাদের আদর করলে ও ভোজন করালে বাস্তুদোষ দূর হয়। সুখ-সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্য লাভ হয়। অষ্টমী ও নবমী তিথিতে কুমারী পুজোকে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল