নিয়ম মেনে করুন মা কালীর আরাধনা

By Bangla News Dunia Desk Biswajit

Updated on:

Bangla News Dunia, সারদা দে :- তন্ত্র অনুসারে কালী হলেন দশম মহাবিদ্যার  প্রথম দেবী। তান্ত্রিক মতানুসারে মা কালীর সাধনা করলে সমস্ত আশা আকাঙ্খা পূরণ হয় এবং সমৃদ্ধি লাভ করা যায়। প্রধানত শাক্ত সম্প্রদায় মা কালীর পুজো করে থাকেন। শাক্তমতে  কালী হলেন এই সমগ্র বিশ্ব সৃষ্টির আদি কারণ।  সাধারণত অমাবস্যা তিথিতে করা হয় মা কালীর আরাধনা। ১৮ শতকে নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মা কালীর পুজোর সূচনা করেন।  এর পরে ১৯ শতক থেকে এই পুজোর বহুল  প্রচলন হয়।

মাটিতে শায়িত মহাদেবের বুকের উপরে বিবসনা ,এলোকেশী ,মুন্ডমালিনী শ্যামা মায়ের মূর্তি মানুষের মনে ভয়ের উদ্রেগ ঘটলেও মায়ের এই মূর্তি সৌভাগ্য ও সৃষ্টির প্রতীক।  মায়ের এক হাতে খড়্গ অন্যহাতে রক্তস্নাত মানুষের মাথা। অন্য দুই হাতে মা ভক্তদের অভয় দান করেন এবং বর দেন। পুরান ও তন্ত্র সাহিত্যে দক্ষিণাকালী ,মহাকালী ,শ্মশানকালী ,ভদ্রকালী প্রভৃতি পাওয়া মায়ের বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন :- কালী পুজোর দিন ভুলেও করবেন না এই কাজ গুলি ! বিস্তারিত পড়ুন

আমরা সাধারণত দেবী কালী বা ভগবতী কালীর আরাধনা করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রে কালি  দোয়াতকে দেবী মূর্তির পরিবর্তে দেবী ভগবতী রূপে বন্দনা করা হয়ে থাকে।  পুজো শুরু করা পূর্বে লেখনী দোয়াত টিকে পুজোর আসনে বসানো হয়। এর পরে দোয়াতের গায়ে স্বস্তিক চিহ্ন ও চন্দনের প্রলেপ দিয়ে পুজোর শুভারম্ভ হয়।  মা কালীর পুজোর প্রধান উপাদান হল  জবা ফুল।  বাহুল্যতার পরিবর্তে ভক্তি নিষ্ঠার সাথে পুজো করলেই মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।  প্রধান ভোগ হিসেবে সোমরস ব্যবহৃত হয়।

পুজো সাধারণত মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে ভোররাত পর্যন্ত চলে।  দেবী মূর্তি বা লেখনী দোয়াত প্রতিস্থাপন করার পরে বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণের দ্বারা দেবীর ধ্যান শুরু হয়। হাতের বিশেষ মুদ্রা এবং মন্ত্রউচ্চারনের মধ্য দিয়ে দেবীকে  আবাহন করা হয়।  দেবী বন্দনায় বিভিন্ন মুদ্রা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। প্রতিটা মুদ্রার আলাদা অর্থ আছে। এর দ্বারা দেবী মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পরে তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয় পুষ্পাঞ্জলি।

 

ধ্যান এবং মন্ত্র উচ্চারণ দ্বারা প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরে দেবীকে তুষ্ট করার জন্য পাঁচটি জবা ফুল দিয়ে পুস্পাঞ্জলী দেওয়া হয়। এরপরে চন্দন ,পুস্প ,ধূপ ,দ্বীপ, নৈবদ্য দিয়ে দেবী বন্দনা করা হয়ে থাকে। সমস্ত রকম অশুভ শক্তিকে বিনাশ করার জন্য খুব নিষ্ঠা ভরে মাতৃ আরাধনা করা হয়।  নারীশক্তির স্বরূপ দেবী ভগবতী সমাজের সমস্ত রকম অনিষ্টকারী শক্তিকে বিনাশ করে সুখ সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন। ভক্তরাও অপার  শক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে মাতৃ আরাধনায় সম্মিলিত হয়।

 

Bangla News Dunia Desk Biswajit

মন্তব্য করুন