Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : হিন্দু ধর্মে পুজো সামগ্রীতে কর্পূরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কর্পূরের আরতী করা হয়। কর্পূরের সুগন্ধে দেবতারা প্রসন্ন হন। ও বাস্তু দোষ দুর করতে কর্পূরের ব্যবহার করা হয়। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী কর্পূর ব্যবহার করে জীবনের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির আগমন ঘটে এবং আর্থিক সংকট দূর হয়।
কর্পূরের উপায়গুলি হল—
১. ঝগড়া, বিবাদ লেগেই থাকলে বাড়ির কোণে কর্পূরের একটি বল রেখে দিন। এর প্রভাবে বাড়ির বাস্তু দোষ দূর হবে এবং ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকবে।
২. বিবাহে বাধা এলে, তা দূর করার জন্য কর্পূর ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য ৬টি কর্পূরের টুকরো ও ৩৬টি লবঙ্গ নিন।
৩. বাস্তু অনুযায়ী পরিবারের কোনও সদস্য অসুস্থ থাকলে সন্ধে বেলা কর্পূর জ্বালানো উচিত। বাড়ির নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং রোগ নষ্ট হয়।
৪. বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী গ্রহ শান্তির জন্যও কর্পূর ব্যবহার করা যায়। সকাল ও সন্ধে ঘিয়ে ভেজানো কর্পূর জ্বালালে গ্রহ দোষ দূর হয়।
৫. ঘরে টাকা-পয়সার স্থায়িত্ব না-থাকলে বা আর্থিক লোকসান হলে, সূর্যাস্তের পর কর্পূরের প্রদীপ জ্বালিয়ে পুরো ঘরে দেখান। বাড়িতে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তি দূর হবে এবং আর্থিক স্থায়িত্ব দেখা দেবে।
৬. জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলতে থাকলে শয়নকক্ষে কর্পূর রেখে ঘুমান। এর প্রভাবে দাম্পত্য সম্পর্কে মাধুর্য আসবে।
৭. পিতৃ দোষ বা কাল সর্প দোষ থাকলে প্রতিদিন রাতে ঘিয়ে কর্পূর ভিজিয়ে জ্বালানো উচিত। রাহু ও কেতুর প্রভাব দূর হয় এবং এই দুই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৮. পরিশ্রম সত্ত্বেও অর্থ উপার্জন করতে না পারলে। লাল গোলাপের সঙ্গে একটি কর্পূরের টুকরো জ্বালিয়ে দুর্গার আরতী করুন। এর প্রভাবে সাফল্য ও ধন লাভ সম্ভব হবে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল