Bangla News Dunia , পন্ডিত শ্রী সুশান্ত শাস্ত্রী :- শনিদেবকে সূর্যদেবের পুত্র বলা হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয়, মকর সংক্রান্তির দিন সূর্যদেব তাঁর ছেলে শনির বাড়িতে যান। শনির গৃহে যাওয়ার সময় সূর্য এত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে যে শনির তেজও তার সামনে ম্লান হয়ে যায়। সূর্য দেবতা ধনু রাশি থেকে বিদায় নিয়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করলে মকর সংক্রান্তির উৎসব পালিত হয়। এবার মকর সংক্রান্তির উৎসব পালিত হবে ১৪ জানুয়ারি শনিবার। মকর রাশি হল শনিদেবের রাশি, শনিদেব এই রাশির অধিপতি। তবে চলুন মকর সংক্রান্তির দিন তিলের নাড়ু ও গুড়ের গুরুত্ব জেনে নেওয়া যাক —
আরো পড়ুন :– জানুন মকর সংক্রান্তিতে সূর্য কাদের জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে আসবে?
তিলের নাড়ু ও গুড়ের গুরুত্ব :- মকর সংক্রান্তির দিন কালো তিল বা সাদা তিল ও গুড় দিয়ে তৈরি লাড্ডু খাওয়া হয় এবং দানও করা হয়। এই দিন সূর্য দেবকে তিল দিয়ে পূজা করা হয়। সেই সঙ্গে ডাল, চাল, ঘি, লবণ, গুড় ও তিল দান করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এর দ্বারা সূর্যদেব এবং শনিদেব উভয়ের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রে তিলের সম্পর্ক শনিদেবের সঙ্গে এবং গুড়ের সম্পর্ক সূর্য দেবতার সঙ্গে বলে বিশ্বাস করা হয়। শনিদেবকে সন্তুষ্ট রাখতে তিলের নাড়ু দান করার কথা বলা হয়। যেহেতু মকর সংক্রান্তির দিন, সূর্য দেবতা মকর রাশিতে শনির গৃহে যান, এমন পরিস্থিতিতে তিল এবং গুড় দিয়ে তৈরি লাড্ডু সূর্য এবং শনির মধ্যকার মধুর সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, সূর্য ও শনি উভয় গ্রহই শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় তিল ও গুড়ের লাড্ডু প্রসাদ আকারে দান করে প্রসাদ গ্রহণ করা হলে শনিদেব ও সূর্যদেব উভয়েই প্রসন্ন হন এবং তাঁদের কৃপায় পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
তবে এর বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও জানুন :- শীতের প্রভাব থেকে মানুষকে বাঁচাতে গুড় ও তিলের লাড্ডু দান করা হয়। এছাড়াও মানুষ নিজেরাই এগুলো তৈরি করে সেবন করে। এটি তাদের শরীরে উষ্ণতা দেয় এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। বৈজ্ঞানিকভাবেও মকর সংক্রান্তির দিনে কালো তিল ও গুড় দিয়ে তৈরি লাড্ডু খাওয়া ও দান করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আসলে মকর সংক্রান্তি উত্তর ভারতের একটি বড় উৎসব হিসেবে মনে করা হয়। এটি দাতব্য উৎসব হিসাবে মনে করা হয়। যখন এই উৎসব আসে তখন উত্তর ভারতে শীত পড়ে। এই ঠান্ডার প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে গুড় এবং তিল উভয়েরই প্রভাবে খুব গরম অনুভূত হয়। ফলে ঠান্ডা কম লাগে। এরই সাথে গুড় হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তবে এই সংক্রান্তির আধ্যাত্বিক গুরুত্ব প্রচুর। আর হিন্দু শাস্ত্রের প্রতিটি আধ্যাত্বিক জিনিসের পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে যা বারবার বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন। যার ফলেই হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের সর্বোত্তম বৈজ্ঞানিক ভিত্তিক ধর্ম হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
আরো পড়ুন :- চাকরি থেকে ব্যবসা, ২০২৩ সালে এই রাশির মানুষদের সৌভাগ্যের শিকড় ছিড়বে
জ্যোতিষ সম্বন্ধিত আরো খবরের জন্য আমাদের চ্যানেল ফলো করুন
————————————————————————
পন্ডিত শ্রী সুশান্ত শাস্ত্রী
বিদ্যা , বিবাহ , প্রেম , ব্যবসা , চাকরি , সাংসারিক অশান্তি , মাঙ্গলিক দোষ , শত্রুদমন , বাস্তু , মামলা মকরদমা , ভাগ্য বিচার , কুষ্টি বিচার , শনির সাড়েসাতি , কালসর্প দোষ , গ্রহণ দোষ যে কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুন। দীর্ঘ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।
চেম্বার – দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিজ গৃহে সেবা করা হয়। ঠিকানা – চৌবেড়িয়া , নিমতলা , পশ্চিমপাড়া , উত্তর ২৪ পরগণা।
চেম্বার – দেবনাথ জুয়েলার্স, চাকদাহ বনগ্ৰাম রোড় নদীয়া, ভারতি শ্রীমা হলের বিপরীতে, প্রতি রবিবার বিকেলে 3 টা থেকে সন্ধ্যা 7 টা পর্যন্ত ।
ফোন – 9732789314 , 7407388282 ( What’s App ) ( প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকলের সাথে সাক্ষাৎ করা হয় )