কোচবিহারের বেলবাড়ির দেবী দুর্গা হন রক্তবর্ণা , জানুন অজানা কাহিনী

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : রাজ আমলে সূচনা হয়েছিল দশভুজার আরাধনা। নানা গল্পকথা আর বিশেষত্বে ভরা কোচবিহারের বেলবাড়ির দুর্গোৎসব। প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই হয় দুর্গাপুজো। দিনহাটা মহকুমার দু’নম্বর ব্লকের নাজিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত বেলবাড়ি বাজার এলাকার সেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। সাবেকি মতে ঢাক বাজিয়ে, খড়ের কাঠামোয় মাটির প্রলেপ দিয়ে সূচনা হল পুজোর। এখানে দেবী গৌরবর্ণা নন, রক্তবর্ণা।

technical coching 2

কোচবিহারের বেলবাড়ি এলাকা একসময় ছিল জঙ্গলে ঘেরা। কথিত আছে, এখানে দেবীর নির্দেশে প্রায় তিনশো বছর আগে শুরু হয়েছিল দুর্গাপূজা। কোচবিহার মহারাজা জগৎ দীপেন্দ্র নারায়ণ নিজেও যোগ দিতেন এই পুজোয়। কালক্রমে এই পুজো হয়ে উঠেছে বারোয়ড়ি পুজো। চলতি বছর এই পুজোর বয়স ২৭৯ বছর। ১৭৪৩ সালে স্থাপিত দুর্গামন্দিরেই শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আর তাতেই বেজে গিয়েছে পুজোর বাদ্যি।

করোনা আবহাওয়া কাটিয়ে গোটা রাজ্য শারদ উৎসবে মেতে উঠেছে। সেই একইভাবে বেলবাড়ির সাধারণ গ্রামবাসীরাও শামিল দুর্গাপুজোয়। দু’বছরের খরা কাটিয়ে এবার মেলার আয়োজন করেছেন গ্রামবাসীরা। পাঁচ দিনের এই পুজো জমজমাট হয় এই গ্রামের স্কুলের মাঠে।

আরো পড়ুন :- ‘৭২ বছরের লোকদেরও চলে যেতে হবে’, বিস্ফোরক মন্তব্য মদনের

এখানে দেবী মূর্তির রং রক্তবর্ণা। বহু বছর আগে একবার রং পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিল, যার ফল হয়েছে মারাত্মক। ওখানেই প্রাণ হারিয়েছিলেন সেই সময়ের মৃৎশিল্পী। তারপর থেকে আর দেবীর গাত্রবর্ণ বদলের কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। কোনও অবস্থাতেই অশুচিভাবে বলি দেওয়া যায় না এই মন্দিরে।

আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন