Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : বোধন হলেও, হয় না বিসর্জন। রীতি ও নিয়ম মেনে পুজোর ক’টা দিন ধুমধামের সঙ্গে পুজো হলেও এই দেবীর বিসর্জন হয় না। শুধু তাই নয়, দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী থাকলেও নেই গণেশ ও কার্তিক। পুজোর সময় বাজানো হয় না ঢাকও। এমনই সব বিশেষত্ব রয়েছে কালনার পাথুরিয়ামহলের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দেবী জয়দুর্গার। বংশপরম্পরায় চলে আসা এমনই পুজোয় প্রতি বছরই নামে ভক্তের ঢল।
কালনা শহরের পাথুরিয়ামহলের দেবী জয়দুর্গার পুজো ৪০০ বছরের পুরনো। পরে পুরোহিত রামধন মুখোপাধ্যায়ের হাতে দেবী জয়দুর্গার নিত্যসেবার ভার আসে। তারপর থেকে নয় প্রজন্ম ধরে এভাবেই দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে বলে জানান পুজোর দায়িত্বে থাকা অমিত মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুজোর ষষ্ঠীর দিন দেবী জয়দুর্গার বোধন হলেও দশমীর দিন বিসর্জন হয় না। দশমীর দিন বিসর্জনের পরিবর্তে দেবীর নিত্যপুজো শুরু হয়। নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে যা সারাবছর ধরেই চলে।
পাথুরিয়ামহলের একচালার প্রতিমা দেখতে অনেকটা পাথরের মতো কিন্তু তা তৈরি করা হয়েছে মাটি দিয়ে। কোনও কারণে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ভেঙে গেলে নবকলেবর করা হয়। ১২ বছর অন্তর দেবীর অঙ্গরাগ হয়। একসময় ছাগ বলিদান এবং সন্ধিক্ষণে মৎস্য ভোগ হত। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের আপত্তিতে বন্ধ হয়ে যায় ৭০ বছর আগে। তবে বর্তমানে কলা, শসা ও চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। নিবেদন করা হয় নিরামিষ ভোগ। অষ্টমীর দিন কুমারী পুজোও হয়।
অমিত মুখোপাধ্যায় জানান, দশমীর দিন এখানে দেবীর বিসর্জন হয় না। বিসর্জন হয় কলাবউয়ের। এই পুজোয় ঢাকও বাজানো হয় না। ঢাক বাজালে পরিবারের ক্ষতি হতে পারে এমনই এক সংস্কারের জন্য পুজোর চারদিন ও নিত্যসেবার সময় কাঁসর, ঘণ্টা ও শাঁখ বাজানো হয়। অমিতবাবু জানান, “আমার ভাই সুমিত মুখোপাধ্যায়ও এই পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন।”
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল