Bangla News Dunia, দীনেশ :- জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এবার সামরিক অভিযান বা নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির (Defence Operations) সরাসরি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হল। এনিয়ে শনিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Ministry of Information and Broadcasting)। সমস্ত সংবাদ সংস্থা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য এটি প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন:- পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি, প্রকাশ্যে পহেলগাঁও হামলার নতুন Video
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই দেশজুড়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চল, নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাবাহিনীর টহল সহ নানা জায়গায় মহড়া চলছে। আর এসব খবর সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসছে। তাই এবার এনিয়ে নির্দেশিকা (Government Advisory) জারি করে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক লিখেছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সমস্ত মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, সংবাদ সংস্থা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযান সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে খবর করা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা এবং বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ সেই সঙ্গে রিয়েল-টাইম প্রচার, সংবেদনশীল স্থান থেকে সরাসরি প্রতিবেদন এবং চলমান সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সূত্র মারফত খবর করার ক্ষেত্রেও সরকার বিশেষভাবে বিধিনিষেধ জারি করেছে।
আরও পড়ুন:- ওষুধের দোকানে বিক্রি হওয়া নকল ওষুধ চিনবেন কীভাবে? বিস্তারিতভাবে বুঝে নিন
সংবেদনশীল কোনও প্রতিবেদনের প্রকাশের ফলে অসাবধানতাবশত কোনও সমস্যা তৈরি হতে পারে। যা কোনও মিশনের কার্যকারিতা এবং জড়িত কর্মীদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। উদাহরণ হিসেবে কার্গিল যুদ্ধ, ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা এবং কান্দাহার হাইজ্যাকিংয়ের মতো অতীতের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সময়ও সংবাদমাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত সম্প্রচার কীভাবে জাতীয় স্বার্থের জন্য অপ্রত্যাশিত পরিণতি ডেকে এনেছিল, সেটাই বোঝানো হয়েছে উদাহরণের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সতর্ক করে দিয়েছে যে, এই বিধান লঙ্ঘন হলে প্রযোজ্য আইন অনুসারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন:- আম্পায়ারকে ঘুষ? IPL-এ গড়াপেটা? সামনে আসলো চাঞ্চল্যকর VIDEO, দেখুন
আরও পড়ুন : ভারত VS পাকিস্তান, স্থল-জল-আকাশে কার কত ক্ষমতা ? বিস্তারিত জেনে নিন