
BLO App Update: পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা সংশোধন ও যাচাই পর্বের মাঝেই এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এল। ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে এসআইআর (SIR) বা ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে জোরকদমে। কিন্তু শুনানির ঠিক আগ মুহূর্তেই ‘বিএলও অ্যাপ’-এ (BLO App) একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা সাধারণ ভোটার এবং বুথ লেভেল অফিসার—উভয়ের জন্যই স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটারদের তথ্যের বিভ্রান্তি দূর করতে এবং অহেতুক হয়রানি কমাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অ্যাপে নতুন ফিচার যুক্ত হওয়ার ফলে যাচাই প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএলও অ্যাপে নতুন ফিচার: ‘রি-ভেরিফাই লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি’
বিএলও অ্যাপে যে নতুন অপশনটি যুক্ত হয়েছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রি-ভেরিফাই লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি’ (Re-verify Logical Discrepancy)। এর মূল লক্ষ্য হলো ২০০২ সালের ভোটার তালিকার তথ্যের সঙ্গে বর্তমান তথ্যের সামঞ্জস্য রক্ষা করা। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে আলোচনা করা হলো:
- বানান ও নাম সংশোধন: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটারের নামের বানান, মধ্য নাম (Middle Name) বা পদবীতে (Last Name) সামান্য পার্থক্য রয়েছে। আগে এর জন্য জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতো। কিন্তু এখন বিএলও-রা নিজেরাই অ্যাপের মাধ্যমে এই ছোটখাটো ভুলগুলি সংশোধন করতে পারবেন।
- আন্ডারটেকিং বা মুচলেকা: সংশোধন করার পর বিএলও-দের অ্যাপেই একটি আন্ডারটেকিং দিতে হবে। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে, যাদের নামের বানানে সামান্য ভুল ছিল, তাদের আর সশরীরে শুনানির জন্য বা হিয়ারিং-এ (Hearing) উপস্থিত হতে নাও হতে পারে। এটি নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষের সময় ও শ্রম বাঁচাবে।
- নথিপত্র আপলোড: এমন অনেক ভোটার আছেন যাদের নাম ‘আনম্যাপড’ (Unmapped) বা লিঙ্ক করা নেই। এদের ক্ষেত্রে যদি ২০০২ সালের তথ্যের সঙ্গে সংযোগের কোনো হার্ড কপি বা প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে বিএলও-রা সেই প্রমাণপত্র সরাসরি অ্যাপে আপলোড করতে পারবেন।
শুনানির দিনক্ষণ ও বিএলও সংগঠনের বক্তব্য
সফটওয়্যার আপডেটের কাজ এখনও চলছে যাতে গোটা প্রক্রিয়াটি কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই সম্পন্ন করা যায়। কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২৬ বা ২৭ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে ভোটার তালিকার শুনানি পর্ব শুরু হতে পারে। ভোটারদের কাছে ইতিমধ্যেই নিয়মিত নোটিশ পাঠানো হচ্ছে।
বোর্ড কর্মী ও বিএলও ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। তিনি জানান, আগে অ্যাপে শুধু ‘লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি’ অপশন ছিল, যা এখন আপগ্রেড করে ‘রি-ভেরিফাই’ মোডে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, রাজ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের নাম ২০০২ সালের তথ্যের সঙ্গে মিলছে না। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের তথ্যের লিঙ্কিং বা ম্যাপিং কেন করা হলো, তার কারণ উল্লেখ করে এবং প্রমাণ আপলোড করে সমস্যার সমাধান করা এখন অনেক সহজ হবে।
Follow Us














