Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- টানা লকডাউনে ৬৯ দিন বন্ধ থাকার পরে ১ জুন থেকে খুলতে শুরু করেছে সোনার গয়নার দোকান। অনিশ্চিয়তা স্বর্ণ শিল্প মহলে! কোনো ক্রেতার দেখা নেই। উল্টে দোকান চালানোর নানা খরচ বইতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ফলে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন ফের দোকান বন্ধ করবেন কি না।
দেশে গণপরিবহণ স্বাভাবিক না হওয়া অবধি দোকানের কর্মী ও ক্রেতারা আসতে পারবেন না, আশঙ্কা ছিলই। আরো চোখ রাঙাচ্ছিল সোনার চড়া দামও। বুধবার কলকাতায় প্রতি ১০ গ্রাম গয়নার সোনা ছিল জিএসটি ছাড়া ৪৬,৬০০ টাকা। তার উপরে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন খরচে রাশ টানার পথ নিয়েছে। তাতেই কপালে ভাঁজ ও চিন্তা বাড়ছে গয়না শিল্পের।
অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেনের অভিযোগ, ইলেকট্রনিক্স জিনিস কিনতে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দেয়। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও তারা সোনার গয়না কিনতে ধার দিতে পারে না। প্রায় ৮ বছর আগে এই ঋণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বলা হয়েছিল দেশে গয়নার ব্যবহার কমানোই এর লক্ষ্য।
স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে জানান , গয়না ব্যবসার উপরে দেশের সাড়ে ৮ কোটি মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করে। মোট জিডিপির ৭% আসে এই শিল্প থেকে। রফতানির বড় অংশ দখল করে আছে গয়না শিল্প। ব্যবসার যে হাল, তাতে বাঁচিয়ে রাখতে অবিলম্বে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মতো গয়নায় ব্যাঙ্কঋণ চালু করা জরুরি। অঞ্জলি জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অনর্ঘ চৌধুরীর অবশ্য দাবি, অনেক দিন বন্ধ থাকার পরে ফের কেনাবেচার জন্যই দোকান খুলেছি।
দোকান খোলা ঠিকই। কিন্তু কর্মীরা আসতে পারছেন না। খদ্দের নেই। অথচ দোকান খোলা রেখে বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন খরচ বইতে হচ্ছে। তাই ভাবছি ফের বন্ধ করব কি না। তবে আসল কথা হলো বিক্রি না-বাড়লে যে আগামী দিনে অবস্থা আরও সঙ্গীন হবে, তা মানছেন স্বর্ণ শিল্পের সাথে যুক্ত প্রায় সকলেই।
Highlights
1. অনিশ্চিয়তা স্বর্ণ শিল্প মহলে
2. গয়না ব্যবসার উপরে দেশের সাড়ে ৮ কোটি মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করে
3. মোট জিডিপির ৭% আসে এই শিল্প থেকে
4. আসল কথা হলো বিক্রি না-বাড়লে যে আগামী দিনে অবস্থা সঙ্গীন হবে
# Gold # Business