BBangla News Dunia , সঙ্গীতা দত্ত রায় :- গত দেড় মাস ধরে সারা দেশে লকডাউন চলায় শিল্প ও বণিক মহলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। শুক্রবার ৩ য় পর্যায়ের লকডাউন আগামী ১৭ মে অবদি করা হয়েছে। আর এর পরই দেশের বণিকসভা সিআইআই (CII) কেন্দ্রের কাছে সব জোনেই কলকারখানা খোলার জন্য অনুমতি চেয়েছে। সমস্ত রকম সাবধানতা নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করা হোক। যদিও লকডাউনের জন্যই দেশে বেশি মাত্রায় করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।
আরো পড়ুন :- লকডাউনে চাকরি গেলেও রয়েছে বিকল্প আয়ের সুযোগ
বণিকসভার মতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জোরালো প্রচেষ্টার পাশাপাশি আর্থিক দুর্বলতাও যাতে কাটিয়ে ওঠা যায় সেই চেষ্টাই করতে হবে। কলকারখানা খোলা হলে কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনাও কমে যাবে আবার আর্থিক উন্নতিও ঘটবে। সেক্ষেত্রে মাস্ক ,গ্লাভস পরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় সবাইকে রেখে কাজ করতে হবে। সিআইআই -এর পরামর্শ অনুযায়ী একটা জেলাকে পুরোটা রেড জোন না করে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল জেলাকে রেড ,অরেঞ্জ ও গ্রীন জোনে ভাগ করা হোক। এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল জেলাগুলোতে অর্থনৈতিক কাজকর্মে ছাড় দেওয়া হোক ,তবে জোন অনুযায়ী নিয়ম নীতি অবশ্যই মানতে হবে।
আরো পড়ুন :- দেশের শিল্পমহল পরিত্রানের পথ খুঁজছে
তারা এও বলে যে -পণ্যের ভেদাভেদ তুলে দিয়ে সব ধরণের কলকারখানাতেই উৎপাদন শুরু করতে দেওয়া হোক। কনটেনমেন্ট জোনে কারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্য খোলার অনুমতি দিয়ে পরে সেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হোক। সিআইআই -এর ডিরেক্টর জেনারেল জানান – অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্মীদের মাস্ক ,স্যানিটাইজার ,পিপিই -র যোগান ,স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রভৃতির খরচ ব্যবসা বন্ধ থাকার ক্ষতির চেয়ে কম।
Highlights :-
- ৩ য় পর্যায়ের লকডাউন আগামী ১৭ মে অবদি করা হয়েছে।
- কলকারখানা খোলা হলে কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনাও কমে যাবে আবার আর্থিক উন্নতিও ঘটবে।
- পণ্যের ভেদাভেদ তুলে দিয়ে সব ধরণের কলকারখানাতেই উৎপাদন শুরু করতে দেওয়া হোক।
# ব্যবসা বাণিজ্য # লকডাউন