BBangla Nwes Dunia , সঙ্গীতা দত্ত রায় :- বর্তমানে লকডাউন পর্বে রাজ্যের শিল্পের অবস্থা খুবই খারাপ। আর লকডাউন উঠে গেলেও ইস্পাতের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা কম ,এই অবস্থায় সরকারি অর্থ সাহায্য না পেলে ছোট বড় সব মিলিয়ে ইস্পাত কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। লকডাউন আরও বাড়লে মেদিনীপুর ,বাঁকুড়া ,পুরুলিয়া ,বর্ধমান প্রভৃতি জেলার অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকবে। এমসিসিআই (MCCI) -এর কাউন্সিল অফ স্টিল চেয়ারম্যান রবি আগারওয়াল বলেন -ইস্পাত শিল্পের অবস্থা গত কয়েক বছর ধরেই বেশ কঠিন , লকডাউনের হলে তা আরও খারাপ হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারি সহায়তা না পেলে রাজ্যের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন :- ন্যাশনাল ই কমার্স টপকালো আমাজনকে
পশ্চিমবঙ্গে সব মিলিয়ে ২৫০ টি মতো লৌহ ইস্পাত শিল্পের কারখানা আছে। বছরে তাদের মোট বিক্রি মোটামুটি ১ লাখ টাকার কিছু বেশি। এর ১০ -১৫% বিদেশে রপ্তানি করা হয় যা এখন বন্ধ।শাকম্বরি ইস্পাতের চেয়ারম্যান দীপক আগরওয়াল বলেন -সরকারকে জানিয়েছি যে মোট কর্মী সংখ্যার অন্তত ৫০% কর্মী না নিয়ে উৎপাদন চালু করা যাবে না। লকডাউনের জন্য চলতি অর্থ বছরে লৌহ ইস্পাত শিল্পে ২০০০০ কোটি টাকার ব্যবসা কম হবে।
আরো পড়ুন :- এবার করোনার থাবা চায়ের ব্যাবসায় , ক্ষতি হতে পারে কয়েক হাজার কোটি!
বাড়ি নির্মাণের জন্য টিএমটি বার উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ দেশের প্রথম ৫ টি রাজ্যের মধ্যে একটি। আর সেখান থেকে বছরে ২৫০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। লকডাউনে টিএমটি বার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ ফলে মাথায় হাত শ্রমিকদের। এ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ইস্পাত শিল্প সংস্থার অবস্থাই শোচনীয় ,এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য ছাড়া ইস্পাতকর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়া সংস্থাগুলির পক্ষে প্রায় অসম্ভব।