লকডাউন ও আমফানের যৌথ সাঁড়াশি আক্রমণে রাজ্যের ফুলচাষীদের অবস্থা শোচনীয়

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Updated on:

Bangla News Dunia : S. Datta Roy –    করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২ মাস ধরে টানা  লকডাউন চলছে গোটা দেশ  তথা রাজ্যে। তার মধ্যেই কয়েকদিন আগে হয়ে গেলো আমফান। এই দুইয়ের মিলিত  আক্রমণে রাজ্যের ফুল চাষীরা একেবারে বিপর্যস্ত। বিশেষ করে নদীয়া ও হাওড়া জেলায় বিঘার পর বিঘা ফুল জমির ঝড়ে নষ্ট হয়ে মাটিতে মিশে গেছে। লকডাউনে বাজার বন্ধ থাকায় লোকাল মার্কেটেই যা বিক্রি হতো। ফুলচাষিরা বলছে -এখন নতুন ছাড়া লাগাতে  না পারলে আগামী ২ মাসে কিছুই উপার্জন হবে না। তাই চারা কেনার জন্য সরকারি সাহায্য প্রয়োজন।

 

 

নদীয়া জেলার রানাঘাটে ফুলের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। এছাড়া কৃষ্ণনগর , হাঁসখালি ,ধনতলা ,চাপড়া ,হিজুলী ,ভীমপুর প্রভৃতি অঞ্চলে ফুলচাষই অনেকের জীবিকা।এখান থেকে ফুল কলকাতা ,শিলিগুড়ি ,আসাম ,নেপাল ইত্যাদি জায়গায় যায়। পরিবহনের অভাবে ফুল রপ্তানি করা না যাওয়ায় জমিতেই ফুল  যাচ্ছিলো। তারপর আমফানের ঝড়ে সমস্ত ফুলগাছ জমিতে মিশে গেছে। নতুন করে যাতে চাষীরা আবার ফুলচাষ শুরু করতে পারে তাই সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইছে।   হাওড়ার বাগনান অঞ্চলের তাঁতবাড়িয়া ,দেউলটি ,খানজাতপুর নাউপালা প্রভৃতি প্রচুর জমির ফুল নষ্ট হয়েছে।

 

flower

 

এপ্রিল মাসে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ফুলের বাজার খোলা থাকার কথা। বলেন কিন্তু ক্রেতার অভাবে সেই ফুল  বিক্রি হয়নি। লোকাল মার্কেটে ফুল বিক্রি ছাড়া চাষীদের আর কোনো উপায় নেই। একমাত্র অল্পকিছু গোলাপ গাছ বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।

Highlights

১.  নদীয়া ও হাওড়া জেলায় বিঘার পর বিঘা ফুল জমির ঝড়ে নষ্ট হয়ে মাটিতে মিশে গেছে। 

২.  পরিবহনের অভাবে ফুল রপ্তানি করা না যাওয়ায় জমিতেই ফুল  যাচ্ছিলো।

৩.  নতুন করে যাতে চাষীরা আবার ফুলচাষ শুরু করতে পারে তাই সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইছে। 

#   ফুলচাষ   #  নদীয়া    #  হাওড়া   #   আমফাম  

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন