Bangla News Dunia, সমরেশ দাস :- লক ডাউন হবার ফলে বেতনে হ্রাস আর তার ফলে মানুষ খুঁজেছে সস্তার কিছু । আর তখনি এসেছে পার্লে জি নাম, ভারতবাসীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী। কমদামে সাময়িক খিদে মেটানোই হোক বা চায়ের সঙ্গী, এই বিস্কুটের জুড়ি মেলা ভার। লকডাউনে সেই আদি অকৃত্রিম পার্লে জি বিস্কুটের ওপরেই ভরসা রেখেছেন ভারতবাসী। কারণ, ১৯৩৮ সালে তৈরি এই সংস্থার সবচেয়ে বেশি বিস্কুট বিক্রি হয়েছে এই মার্চ–এপ্রিল–মে মাসের অর্ধে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ত্রৈমাসিকে পার্লে বাজারে নিজের পাঁচ শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধি করেছে। যার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এসেছে পার্লে জি বিস্কুটের থেকে। সংস্থাই বলছে, এ অভূতপূর্ব।
অনেকেই বলছেন, পরিযায়ী শ্রমিকেরা, যাঁরা লাখে লাখে ভুখা পেটে রাস্তা পার করেছেন, তাঁদের অনেকেই সামান্য খিদে মেটাতে এই পাঁচ টাকার বিস্কুটের প্যাকেট ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি, উপার্জনের ঘাটতি থাকায় হয়ত অনেকেই ঝুঁকেছেন মাত্র পাঁচ টাকায় কেনা যায় এমন পার্লে জির দিকে। তাই একাধাক্কায় বেড়েছে বিক্রি। অবশ্য শুধু এই বিস্কুটেরই নয়। পার্লেজির পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে ব্রিটানিয়া, ও পার্লের একাধিক অন্য বিস্কুট ব্র্যান্ডগুলির।
পার্লে প্রোডাক্টেক ক্যাটগরি হেড ময়ঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের বিস্কুট হয়ে উঠেছে পার্লে জি। যাঁরা রুটি কিনতে পারছেন না, তাঁদের কাছে এটি পরিবর্ত খাদ্যদ্রব্য হিসাবে গৃহীত হয়েছে। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিপুল পরিমাণে বিস্কুট কিনেছে। সরকারের তরফ থেকেও অনেক অর্ডার পেয়েছে সংস্থা। সব মিলিয়ে বিক্রির পরিমাণ এতটা বেড়ে গিয়েছে। সংস্থার জন্মের পর থেকে এক ত্রৈমাসিকে এত বিস্কুট বিক্রি হয়নি।’
Highlights
১. কমদামে সাময়িক খিদে মেটানোই হোক বা চায়ের সঙ্গী, এই বিস্কুটের জুড়ি মেলা ভার
২. ১৯৩৮ সালে তৈরি এই সংস্থার সবচেয়ে বেশি বিস্কুট বিক্রি হয়েছে এই মার্চ–এপ্রিল–মে মাসে
৩. পরিযায়ী শ্রমিকেরা, যাঁরা লাখে লাখে ভুখা পেটে রাস্তা পার করেছেন, তাঁদের অনেকেই সামান্য খিদে মেটাতে এই পাঁচ টাকার বিস্কুটের প্যাকেট ব্যবহার করেছেন
#Migrant Worker #Parle-G #LockDown