Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী :- সব চেষ্টা কি ব্যর্থ ? অর্থনীতির গভীর ক্ষত দ্রুত মেরামত না করলে চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ভাগে ভারতকে মন্দা গ্রাস করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দেশে দ্রুত আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু করা না গেলে মন্দার কবলে পড়বে ভারত। এ ব্যাপারে আগের সমস্ত ব্যবস্থা ব্যর্থ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সুব্রহ্মণ্যন বলেছেন, করোনা অতিমারী রুখতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার ফলেই এই অধোগতি। তার কথায়, ‘কর্পোরেট ছাড়, সুদের হার কমানোর মতো পদক্ষেপ অধোগতি রুখতে পারেনি। কেন্দ্রের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, লকডাউন মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে হলেও ফেব্রুয়ারি থেকেই আঘাত শুরু হয়ে গিয়েছিল। খরচ কমানো, বিনিয়োগ বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
সম্প্রতি রেটিং সংস্থা মুডিজ ভারতের অর্থনৈতিক রেখাচিত্রে পতনের পরিসংখ্যান সামনে এনেছে। তা নিয়ে রাজনীতিও চলছে বিস্তর। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মুডিজের সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও সুব্রহ্মণ্যন বলছেন, ওই রেটিংয়ে শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর ৩০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশেই অর্থনৈতিক অধোগতি লক্ষ্য করা গেছে।
তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এমএসএমই সেক্টরে বিশেষ নজর দিয়েছে। এর ফলেই নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তবে তিনি ওই সাক্ষাৎকারে তিনি এও বলেছেন, ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের জন্যই এই অর্থনৈতিক অধোগতির সূত্রপাত। তিনি যাই বলুন, করোনা ভাইরাসকে রুখতে দেশে জারি করা লকডাউনের জন্যই লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। যারা এক সময় মোটা অঙ্কের বেতন পেতেন, আজ তারা কর্মহীন। ফলে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে, পেট চালানোর তাগিদে দেশের অবস্থা এখন এমন যে, উপার্জনের জন্যে যে কোনও ধরনের কাজ করতেও দ্বিধা করছে না যুব সম্প্রদায়।
এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে , ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ মানুষ মনরেগা শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য আবেদন করেছেন। একসঙ্গে এত আবেদন এই দশকে কখনও জমা পড়েনি।
Highlights
1. সব চেষ্টা কি ব্যর্থ ?
2. চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ভাগে ভারতকে মন্দা গ্রাস করবে বলে আশঙ্কা
# Economy # Business