দেশে শেষবার জনগণনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও, কোভিড–১৯ অতিমারির কারণে তা আর করা সম্ভব হয়নি। ফলে জনগণনার কাজ পিছিয়ে যায়।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২৭ সালে দেশে পরবর্তী জনগণনা অনুষ্ঠিত হবে। এরজন্য শুক্রবার কেন্দ্রের তরফ থেকে জনগণনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হলো। এবার জনগণনায় আবেদন জানা যাবে অনলাইনে। এরজন্য একটি আলাদা পোর্টাল চালু থাকবে, সেই পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে নাগরিকেরা অংশ নিতে পারবেন।
এবার জনগণনা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করা হবে। এবারের জনগণনা (Census 2027 in India) হবে দুটি ধাপে। প্রথম ধাপে নাগরিকদের বাসস্থান ও সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই পর্যায়ে বাড়ি, জমি এবং অন্যান্য সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য সরকার সংগ্রহ করবেন। এরপর দ্বিতীয় ধাপে মূল জনগণনা প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জনগণনার সময় যে সকল তথ্য হাতের কাছে ও জানা থাকতে হবে, তা হলো –
জনগণনা চলাকালীন সময়ে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য হাতের কাছে রাখতে হবে। সেগুলি হল – আপনার ও পরিবারের সকল সদস্যদের নাম, বয়স, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ। এর পাশাপাশি বিবাহিত হলে বিয়ের তথ্য, জাতি বা বর্ণের তথ্য। এছাড়াও জনগণনা চলাকালীন বিভিন্ন সামাজিক তথ্যও দিতে হবে। তা হতে পারে – আপনার ও পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, ব্যবহৃত ভাষা, পরিবারের কেউ শারীরিক অক্ষম সদস্য থাকলে তার তথ্য এবং যদি কোনো সদস্য অন্য স্থান থেকে এসে বসবাস করে থাকেন এরকম কিছু তথ্য। এক্ষেত্রে বাড়ি সংক্রান্ত তথ্যও প্রয়োজন হবে। যেমন – বাড়ির ধরন (পাকা না কাঁচা ইত্যাদি) , পানীয় জল ও বিদ্যুতের উৎস এবং পরিবারে শৌচাগারের সুবিধা রয়েছে কি না সে সম্পর্কিত তথ্য।
এই জনগণনা প্রক্রিয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মোট ১১,৭১৮.২৪ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, জনগণনার পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় ৩০ লক্ষ ফিল্ড-ওয়ার্কার (Enumerators) প্রয়োজন হবে। এই কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই হবেন সরকারি স্কুলশিক্ষক। এই কর্মীরা নিজেদের নিয়মিত চাকরির পাশাপাশি জনগণনার কাজ করবেন। ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া চলবে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হবে মূল জনগণনা। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা ও তুষারপাতের কারণে কিছু এলাকায় জনগণনা আগেই সম্পন্ন করা হবে। সেই সকল এলাকায় ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জনগণনার কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।














