উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একতরফাভাবে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাউথ ব্লকে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা চিঠিতে লিখেছেন, ‘গোর্খা সম্প্রদায় বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর সঙ্গে যুক্ত কোনও পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই করা উচিত। একতরফা কোনও পদক্ষেপ এই সংবেদনশীল অঞ্চলের শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।’
দার্জিলিং এবং লাগোয়া তরাই-ডুয়ার্স এলাকায় গোর্খাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার পঙ্কজকুমার সিংকে শুক্রবার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। রাজস্থান ক্যাডারের এই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই নিয়োগের আগে নবান্নের সঙ্গে নয়াদিল্লির কোনও আলোচনা হয়নি। কেন্দ্রের পদক্ষেপে মমতা ক্ষুব্ধ।
তাঁর অভিযোগ, গোর্খা সম্প্রদায় এবং জিটিএর বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার পঙ্কজকুমার সিংকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এনিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হয়নি। রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে তিনি বিস্মিত এবং ব্যথিত। জিটিএর আওতায় থাকা দার্জিলিং পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্স এলাকার আইনশৃঙ্খলা, শান্তি বজায় রাখা রাজ্যের দায়িত্ব। সেখানকার স্থায়ী সমাধানও ত্রিপাক্ষিক বিষয়। তাই রাজ্য প্রশাসনকে না জানিয়ে সেখানে কেন একজন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা হল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে। এই অঞ্চলের প্রশাসনিক স্থিতাবস্থা ও শান্তিরক্ষা রাজ্যের দায়িত্ব। সেখানে কেন্দ্রের একতরফা পদক্ষেপ সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।’ মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে তা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।