অবৈধ খাদানের বালি-পাথর যাচ্ছে বাংলাদেশে ! উত্তরের দুই জেলার ডিএম-এসপির রিপোর্ট তলব নবান্নের

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

 

Bangla News Dunia, দীনেশ :- রাজ্য সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চেল, ঘিস, লিজ, তিস্তা নদী থেকে পাথর তুলে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে তা বাংলাদেশে (Bangladesh) পাচার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নবান্নে (Nabanna) এই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। তারপরই এই নিয়ে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারদের কাছেও পৃথকভাবে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, যে সমস্ত বালি ও পাথর খাদানের টেন্ডার করা হয়নি বা টেন্ডার হলেও লিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি, সেগুলিকে দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কারণ, টেন্ডার বা লিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ার ফলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ খাদান চলছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও তা না হওয়ায় এবার জেলা শাসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পুলিশ কেন পাচার বন্ধ করতে পারছে না, তা নিয়েও পুলিশের কাছ থেকে পৃথক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, লালফিতের ফাঁসে ২০১৭ সাল থেকে অনেকগুলি খাদানের লিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। সেগুলি আটকে থাকায় ওই জায়গায় নতুন করে লিজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার ওই সংলগ্ন এলাকাতেই অবৈধভাবে বালি ও পাথর খাদান শুরু হয়েছে। মূলত প্রশাসনের স্থানীয় স্তরের একাংশের মদতেই সেগুলি চলছে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এই নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের প্রকাশ্যেই ভর্ৎসনা করেন। কয়েকজন ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বদলিও হন। কিন্তু তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এর ফলে কালোবাজারি ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। ফলে ন্যায্যমূল্যের থেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে স্থানীয় মানুষকে বালি ও পাথর কিনতে হচ্ছে। নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘বাজারে চাহিদার থেকে জোগান কম হলে কালোবাজারি বাড়বেই। সব ঘাটের নিলাম না হওয়ায় পর্যাপ্ত জোগানও নেই। সেই কারণেই প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে এই নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে নিলাম না হওয়া ঘাটগুলির লিজ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।’

আরো পড়ুন :- পাকিস্তান থেকে জাহাজ ভর্তি পণ্য পৌঁছাল বাংলাদেশে, জানুন কী কী আমদানি করা হল ?

শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গেও একই সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে গোটা রাজ্যেই বালি ও পাথর খাদানগুলি নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে সামাজিক প্রকল্প চালাতে রাজ্য সরকারের প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। নতুন করে আবাস যোজনার টাকাও রাজ্য মেটাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিজস্ব আয় বাড়াতে না পারলে সামাজিক প্রকল্প চালানো সম্ভব হবে না। সেই কারণেই লিজ না হওয়া বালি ও পাথর খাদানগুলি নিয়ে নড়েচড়ে বসল নবান্ন।

আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন