আবাস, ১০০ দিনের পর এ বার সর্বশিক্ষা মিশনের টাকাও বন্ধ, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

sorboshiksha

Bangla News Dunia , Rajib : প্রথমে আবাস, তারপর একশো দিনের টাকা আর এ বার সর্বশিক্ষা মিশন খাতে রাজ্যের প্রাপ্য বন্ধের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, গত ১০ মাস ধরে ১২০০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও এই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। সুকান্ত জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতির শর্ত রাজ্য মানছে না বলে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। যা নিয়ে ফের চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও একবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যর দাবি, ‘কেন্দ্রের কাছে সর্বশিক্ষা মিশন ও মিড ডে মিলের ১২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক নয়, নিন্দনীয়। আমাদের ন্যায্য পাওনা এই টাকা দিতে কেন্দ্র চুক্তিবদ্ধ।’

প্রসঙ্গত এই টাকা দিয়ে প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি স্কুলগুলির রক্ষণাবেক্ষণ, মিড ডে মিল, পরিকাঠামো উন্নয়ন সর্বোপরি প্রতিদিনের খরচ মেটানো হয়। এই টাকার ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, বাকি ৪০ ভাগ দিতে হয় রাজ্যকে।

ফলে সর্বশিক্ষার পাওনা না মেটানোয় স্কুলগুলির কম্পোজ়িট গ্রান্ট গিয়েছে আটকে। অনেক স্কুলে চক ডাস্টার কেনার মতো টাকা নেই। সামনেই রাজ্যের সব স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। তার আগে কোয়েশ্চেন ছাপানো, খাতা কেনার কাজ কীভাবে হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে অনেকেরই।

আরো পড়ুন :- বিয়ের জন্য ছুটি না পেয়ে Whatsapp ভিডিও কলেই শুভ পরিণয় সারল বর-কনে

আরো পড়ুন :- স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগে দিতে হয় ঘুষ! ভারতেই চলে এই আজব নিয়ম, ভাইরাল ভিডিও

বিকাশ ভবনের দাবি, রাজ্যের মিড ডে মিল সরবরাহে যাতে ছেদ না পড়ে সে ব্যাপারে সচেষ্ট রাজ্য প্রশাসন। সে কারণে এখন নিজেদের ফান্ড থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে। কারণ শিশু–কিশোরদের পুষ্টিতে যাতে ঘাটতি না হয়, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

কী ব্যাখ্যা কেন্দ্রের? কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ যারা মানবেন না তারা সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা পাবে না।’

সুকান্তর পাল্টা অভিযোগ, ‘এই রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতির অধীনে পিএমশ্রী স্কুল চালু করতে রাজি নয়। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আগামী দিনে অন্য কেউ হতে পারেন। কিন্তু নামে পিমএমের উল্লেখ রয়েছে বলে রাজ্য সরকার বলছে এই নীতি মানবে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতির শর্ত মানুক। তাহলেই টাকা পাবে।’

কিন্তু শিক্ষামহলের অনেকেরই প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত স্কুল মানা না মানা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিজেরা আলোচনা করে মেটাতে না পারলে, আইন–আদালতের রাস্তা খোলা ছিল। কিন্তু তার জন্য ছোট ছোট শিশুদের মুখের ভাত কেড়ে নেওয়া কি কেন্দ্রের সাজে?

এর আগে আবাস ও একশো দিনের কাজ–সহ একাধিক কেন্দ্রীয় স্কিমের টাকা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির দ্বৈরথ দেখেছে দেশবাসী। কেন্দ্রের দাবি, এই প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতি হয়েছে তাই টাকা দেওয়া হচ্ছে না।

কিন্তু তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ ছিল, এই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ কেন্দ্র দেখাতে পারেনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বকেয়া আদায়ের দাবিতে দিল্লির বুকে আন্দোলন হয়েছিল।

কলকাতাতেও রাজভবনের সামনে ধর্না দিয়েছিলেন তিনি। এরপর রাজ্যের মানুষের কথা মাথায় রেখে আবাস ও একশো দিনের টাকা রাজ্য সরকারই মিটিয়ে দেবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরো পড়ুন :- পশ্চিমবঙ্গে ফের প্রাইমারী টেট এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন