Bangla News Dunia , Rajib : কলকাতা শহরে বাসের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে রীতিমত চিন্তায় পড়ে গিয়েছে নিত্যযাত্রীরা! পরিবেশ রক্ষার মামলায় ১৫ বছরের বেশি পুরোনো সমস্ত বাসের লাইসেন্স বাতিল হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে ১৫০০ এরও বেশি বাস উধাও হয়ে যাবে রাস্তা থেকে। এরফলে প্রচণ্ড ভোগান্তির শিকার হতে হবে নিত্যযাত্রীদের। এই মর্মে আজ অর্থাৎ সোমবারই বৈঠক হয়েছিল। কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সেখানে? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
রাজ্য ও জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটরসদের বৈঠক
নতুন বাসের পারমিট কিভাবে দেওয়া হবে? সেই নিয়ে আজ জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটরসদের সাথে বৈঠকে বসেছিল রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী। সেখানে নতুন পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠিন নিয়ম জারির কথা বলা হয়েছে। কারণ একই রুটে একাধিক পারমিট ইস্যু করলে সেখানে বাসের সংখ্যা বাড়বে আর তাতেই রেষারেষি বাড়ে। আর এর ফলে প্রায়দিন শহরে বাস দুর্ঘটনার খবর মিলছে। তাই পারমিট দেওয়ার আগে সার্ভে করতে হবে বলে প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন :- রাষ্ট্রপতিকে খুন করতে সুপারি দিলেন উপরাষ্ট্রপতি! দেশ জুড়ে চূড়ান্ত ডামাডোল
পারমিট দেওয়ার আগে স্পেশাল সার্ভে
রাজ্যের বিভিন্ন বাস রুটগুলিতে সার্ভে করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে রাজ্যও। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সার্ভের কাজ শুরু করা হবে। এই সার্ভের রিপোর্ট থেকেই হয়তো আগামী দিনে পারমিট ইস্যু করা হবে।
বাড়ছে ১৫ বছর পুরোনো বাসের মেয়াদ?
নিত্যযাত্রী থেকে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল ১৫ বছর পুরোনো বাসের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না? এদিনের বৈঠকে সোজাসুজি উত্তর না মিললেও কি হতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছে। পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান, পুরোনো বাস বাতিল করতেই হবে। কিন্তু বাস কমে গেলে পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক সমস্যা হতে পারে সার্বিকভাবে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাসের অবস্থা দেখে যেগুলো চলার মত সেগুলোকে আরও ৫ বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারেন।
আরো পড়ুন :- আবারও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ !
অবশ্য এখানেই শেষ নয়, এদিন বৈঠকে পরিবহন মন্ত্রী আরও জানান, রাস্তায় দুর্ঘটনার একাধিক কারণ থাকতে পারে। বেপরোয়া গাড়ি চালানো এর মধ্যে অন্যতম। তাই পথ নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য SOP তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ড্রাইভারদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ব্লক থেকে পঞ্চায়েত সমস্ত স্টোরে সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি
রাজ্যের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই অ্যাকসিডেন্ট প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলিকে গার্ড রেল দিয়ে ঢেকে স্পিড ম্যানেজমেন্ট পলিসি তৈরী করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া কলকাতায় স্পিড ক্যামেরা রয়েছে সেগুলির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানা গিয়েছে।