Bangla News Dunia, Pallab : নতুন বছরেই বিরাট চমক। আচমকা রবিবার সন্ধ্যায় ইস্তফা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সকলকে চমকে এদিন সন্ধ্যায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার হিংসায় কেঁপে উঠেছে মণিপুর। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষিদের অবধি প্রাণহানি হয়েছে। এদিকে না ঘটনার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী দল। এরপর আজ আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সকলকে অবাক করে দিয়েছেন এন বীরেন সিং। তাঁর জায়গায় কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী এখন সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : প্রতিমাসে পাবেন ৪০,১০০ টাকা ! পোস্ট অফিসের এই স্কিমে এখনই আবেদন করুন
ইস্তফা দিলেন বীরেন সিং
গত বছরের শেষের দিকে রাজ্যে হিংসার ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পুরো বছরটাই খুব খারাপ গেছে। ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে আজ পর্যন্ত যা ঘটেছে তার জন্য আমি রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। অনেকে হারিয়েছেন প্রিয়জনদের। অনেকে বাড়িঘর ছেড়েছেন। এতে আমি মর্মাহত। গত তিন-চার মাসে শান্তির পরিস্থিতি দেখে আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।’
পদত্যাগপত্রে যা বললেন এন বীরেন সিং
রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আমি, নংথোম্বম বীরেন সিং, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছি। মণিপুরের মানুষের সেবা করা আমার কাছে সম্মানের। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, যারা মণিপুরের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ রক্ষার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে, হস্তক্ষেপ করেছে এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।’
আরও পড়ুন : দুর্গন্ধজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য সেরা বায়োকেমিক ঔষধ !
কীভাবে শুরু হয় সংঘর্ষ
মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা গত বছরের ৩ মে শুরু হয়েছিল, যখন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এটিএসইউএম) মণিপুর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে একটি সমাবেশ করেছিল, যা মণিপুরী সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে রাজ্যে হিংসার চক্র অব্যাহত রয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছিল।