আস্থা নেই, শুধু কোটার সুবিধা পেতে ধর্মান্তর, সংবিধানকে ধোকা দেওয়া: সুপ্রিম কোর্ট

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

sgsdgs

Bangla News Dunia , Rajib : প্রকৃত অর্থে তার সেই ধর্মে বিশ্বাস নেই। অথচ, শুধুমাত্র কোটার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে ওই ব্যক্তি সেই ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে চাইছেন। এটা হতে দিলে, যে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সংরক্ষণের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, সেই দৃষ্টিভঙ্গীটাই লঙ্ঘিত হবে। সংরক্ষণের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর), এক ধর্মান্তরের মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

খ্রিস্টান ঘরে জন্মানো এক মহিলা তফসিলি জাতির শংসাপত্র চেয়েছিলেন। পুদুচেরিতে এক হাই ডিভিশন ক্লার্কের চাকরির জন্য তিনি নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু, তাঁকে তফসিলি জাতির শংসাপত্র দিতে অস্বীকার করেছিল করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মহিলা।

আরো পড়ুন :- বড় খবর! রেশন কার্ড বাতিল হল কোটি কোটি মানুষের। নাম দেখতে রেশন কার্ড স্ট্যাটাস চেক করুন এই ভাবে

বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের একটি বেঞ্চ অবশ্য হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখেন। বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল বলেন, ‘এই মামলায়, উপস্থাপিত প্রমাণগুলি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আবেদনকারী খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। নিয়মিত গির্জায় যান। তা সত্ত্বেও, তিনি নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেছেন এবং চাকরির পাওয়ার জন্য তফসিলি জাতির শংসাপত্র চাইছেন। এই ধরনের দ্বৈত দাবি মেনে নেওয়া যায় না। ব্যাপ্টিজ়মের পর তিনি নিজেকে হিন্দু বলতে পারেন না।’

বেঞ্চ আরও জানায়, এই ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে তফসিলি জাতির মর্যাদা দিলে, সংরক্ষণের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। বিচারপতি মিথাল বলেন, ‘এটা সংবিধান নিয়ে জালিয়াতি করার সামিল।’ বিচারপতি মহাদেবন বলেন, ‘ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। প্রত্যেক নাগরিককে তাদের পছন্দের ধর্ম পালন করার অধিকার দিয়েছে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫। কোনও ভিন্ন ধর্মের নীতি এবং আধ্যাত্মিক চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ সেই ধর্মে ধর্মান্তরিত হতেই পারেন। তবে, ধর্মান্তরিত হওয়ার মূল উদ্দেশ্য যদি, সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া হয়ে থাকে, তাহলে তার অনুমোদন দেওয়া যায় না।’

আরো পড়ুন :- সরকার আনছে নয়া PAN কার্ড, তাহলে কি ‘অকেজো’ হল পুরনো কার্ড? জানতে পড়ুন বিস্তারিত

তবে, শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ, অন্য এক বড় প্রশ্ন ফের উসকে দিয়েছে। তফসিলি জাতির কোটার জন্য ধর্মকে মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহার করাটা কি সাংবিধানিক? প্রশ্নটা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের সামনে রয়েছে। খ্রিস্টান এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ মামলা করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। ভারতের সংবিধানে শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্য তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে, সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে, শিখ এবং বৌদ্ধদেরও হিন্দু বলে বিবেচনা করা হয়। ২০০৭ সালে, বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের রিপোর্টে, দলিত খ্রিস্টান এবং মুসলমানদেরও তফসিলি জাতির সরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন