Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- উত্তাল বাংলাদেশ। সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। একমাত্র আশার আলো দেখছিলেন কলকাতা বিমানবন্দরের এক্সপোর্টাররা। ভেবেছিলেন এই অশান্ত পরিবেশে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আসা পণ্যের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে। তা হলে বিমানে কিছু জায়গা পাবেন তাঁরা।
তাঁদের অভিযোগ, কলকাতা থেকে প্রতিদিন যে ৩৫–৪০ টন পণ্য বিদেশে এক্সপোর্ট বা রপ্তানি হয়, তার মধ্যে বাংলাদেশি পণ্যই থাকছে ২৫–৩০ টন। সে দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সেই পরিমাণটা কিছুটা কমলে খানিকটা সুবিধা পেতেন তাঁরা।
কিন্তু, হিসেব তা বলছে না। অগস্টে হাসিনা সরকারের পতনের সময়ে দিন দশেক পণ্য আসা কমেছিল। তারপর থেকে আবার নিয়মিত পণ্য আসতে শুরু করেছে। পণ্য বলতে মূলত পোশাক। পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে তা সড়কপথে আসছে বিমানবন্দরে। আগে তাও কলকাতা থেকে পণ্যবাহী উড়ান চলত। গত ডিসেম্বরেও কলকাতা থেকে সপ্তাহে দু’দিন কার্গো উড়ান চালাচ্ছিল কাতার।
এখান থেকে যাওয়ার পণ্য পেলেও কলকাতায় আসার পণ্যের অভাবে সেই কার্গো ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় কাতার। এখন এমিরেটস, কাতার এবং এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রিবাহী উড়ানের পেটে যতটা জায়গা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে ঠেসে তুলে দেওয়া হচ্ছে পণ্য। আর এই কম্পিটিশনে মার খাচ্ছেন কলকাতার এক্সপোর্টাররা।
কলকাতা থেকে রপ্তানি হয় মূলত আনাজ ও চামড়া। কলকাতা বিমানবন্দরে এই এক্সপোর্টারদের সংগঠনের নেতা পূর্ণচন্দ্র মাইতি–র অভিযোগ, উড়ান সংস্থা কলকাতা থেকে পণ্যের জন্য ভয়ঙ্কর বেশি ভাড়া চাইছে। যে ভাড়া দিতে তাঁরা কার্যত অক্ষম। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি টাকা দিয়ে কার্গো বুক করছেন।
পূর্ণচন্দ্রের কথায়, ‘কিলো প্রতি এখান থেকে দুবাইয়ে পণ্য পাঠাতে চাইছে ১৩৫ টাকা। অথচ বেনারস, লখনৌ থেকে দুবাইয়ে পণ্য পাঠাতে প্রতি কিলো ভাড়া লাগছে ৫০ টাকা! তাই, কলকাতার অনেক ব্যবসায়ী এখান থেকে সড়কপথে পণ্য বেনারস, লখনৌ পাঠিয়ে সেখান থেকে উড়ানে বিদেশে রপ্তানি করছেন।’
কিন্তু, কলকাতা থেকে সড়কপথে বেনারস ও লখনৌয়ে পণ্য পাঠাতেও অনেক খরচ, হ্যাপাও। জানা গিয়েছে, বেনারস, লখনৌ থেকে সড়কপথে পেঁপে, গরুর মাংস–সহ বেশ কিছু পণ্য কলকাতায় নামিয়ে এতদিন লরিগুলি খালিই ফিরছিল। এখন কম পয়সায়, প্রায় প্রতি কিলো ৫ টাকা ভাড়ায় সেই লরিগুলিতে পণ্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে লখনৌ ও বেনারস বিমানবন্দরে। সেখান থেকে উড়ানে বিদেশে।
কলকাতা বিমানবন্দরের কার্গো এজেন্ট অরূপ ঘোষের অভিযোগ, ‘তুলনায় কম টাকায় পণ্য এ ভাবে বিদেশে পাঠালেও, তা পৌঁছতে সময় লাগছে। কলকাতা থেকে সরাসরি পাঠালে যে পণ্য দু’দিনে পৌঁছত, বেনারস যেতেই মতার চারদিন লেগে যাচ্ছে। আনাজ মূলত পচনশীল বা পেরিশেবল। খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এ ভাবে কলকাতার এক্সপোর্টারদের গড়ে প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।’
তাঁর অভিযোগ, শুধু বেনারস, লখনৌ নয়, কলকাতা থেকে দিল্লি–মুম্বই–চেন্নাই বিমানবন্দরের পণ্য ভাড়াও তুলনায় কম। অনেকে কলকাতা থেকে সড়কপথে পণ্য ওই সব শহরে নিয়ে গিয়ে সেখানকার বিমানবন্দর থেকে এক্সপোর্ট করছেন।
কিন্তু, কেন এত বেশি ভাড়া কলকাতায়? অরূপদের অভিযোগ, কলকাতা থেকে কোনও ডেডিকেটেড কার্গো ফ্লাইট নেই। সেই সুবিধা নিচ্ছে উড়ান সংস্থাগুলি। এ ছাড়াও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পণ্য পাঠাচ্ছেন। কলকাতা থেকে তাঁদের পণ্য যাচ্ছে, ইউরোপ, আমেরিকায়।
আরো পড়ুন:– কবে আসবে আপনার মৃত্যু? বলে দিচ্ছে এআই-চালিত ‘ডেথ ক্লক’। কিভাবে? জানলে অবাক হবেন
আরো পড়ুন:– সস্তা স্যামসাঙ স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র 6499 টাকার বিনিময়ে, পাওয়া যাবে 50MP Camera এবং 5000mAh Battery