এইচআইভি পজ়িটিভ লিখলেই জেল-জরিমানা, কোথায়? জানতে পড়ুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- প্রেসক্রিপশন বা হাসপাতালের আউটডোর টিকিট, কোথাও উল্লেখ করা যাবে না এইচআইভি পজ়িটিভ বা আইসিটিসি পজ়িটিভের মতো শব্দ। বদলে লিখতে হবে ইমিউনো–কমপ্রোমাইজ় বা সেরো–পজ়িটিভের মতো শব্দবন্ধনী।

এইচআইভি পজ়িটিভ রোগীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হলে এবং তা যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে জেল, জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে বলে বরাবরই সতর্ক করে স্বাস্থ্য দপ্তর। মঙ্গলবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে বিশ্ব এইডস দিবসের অনুষ্ঠানে এসে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এমনই বার্তা দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-৪ সুনেত্রা মজুমদার।

 

আরো পড়ুন:– বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, মেহবুবা মুফতির মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে

প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস। এ বছরের কর্মসূচিতে যোগ হয়েছে হাসপাতালের হেলথ প্রফেশনালদের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা। ডেপুটি সিএমওএইচ-৪ বলেন, ‘বহু ক্ষেত্রেই আমরা দেখছি, প্রদীপের নীচেই অন্ধকার। যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা এইচআইভি পজ়িটিভ রোগীদের ডিল করছেন, বহু সময়ে তাঁরাই বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। এ বছর বিশ্ব এইডস দিবসে আমাদের থিম— এইচআইভি পজ়িটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে যেন বৈষম্যমূলক আচরণ করা না হয়। তাঁদের অধিকার বজায় রাখাই এ বছরের থিম।’

ওই স্বাস্থ্যকর্তা জানাচ্ছেন, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ২০১৭–র ‘এইচআইভি ও এইডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ আইন অনুযায়ী, কোনও রোগীর ‘স্টেটাস’ কাউকে জানানো যায় না। এইচআইভি পজ়িটিভ রোগীরা সরকারি ভাবে কিছু সুবিধা পান। সরকারি বাসে ফ্রি–তে যাতায়াত, আবাস, অন্ত্যোদয় যোজনার মতো সুবিধাও পান তাঁরা। এইচআইভি পজ়িটিভ রোগী অনুমতি না দিলে তাঁর স্টেটাস জানানো যাবে না।

সুনেত্রা বলেন, ‘আমরা চাইছি, এবার থেকে মানুষ যেন সচেতন হয়। বহু সময়ে আমরা দেখছি, কিছু স্টাফ রোগীর স্টেটাস জানিয়ে ফেলছেন। তখন চারপাশের মানুষ ওই রোগীদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করছেন। ওই রোগীর হয়তো অস্ত্রোপচার বাতিল হয়ে যাচ্ছে। রোগীর ভর্তি হতেও সমস্যা হচ্ছে।’

আইনের বিধান উল্লেখ করে ওই স্বাস্থ্যকর্তা স্পষ্ট জানান, এইচআইভি পজ়িটিভ রোগীদের ক্ষেত্রে যে কোনও রকম বৈষম্যমূলক আচরণই দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে শাস্তির প্রক্রিয়াও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। মহকুমা স্তরের কোনও হাসপাতালের সুপারের কাছে যদি এমন অভিযোগ আসে তা হলে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পূর্ণ করে তা জমা দিতে হবে। ওম্বুডসম্যান হিসেবে থাকবেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল ও ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে ডেপুটি সিএমওএইচ–৪ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কালনা মহকুমা হাসপাতালের দু’টি ঘটনা তুলে ধরেন। বর্ধমানের ক্ষেত্রে টিকিটে এইচআইভি পজ়িটিভ উল্লেখ করা ছিল। কালনার ক্ষেত্রে আইসিটিসি পজ়িটিভ লেখা ছিল। তিনি বলেন, ‘এই কথাগুলো সাধারণ মানুষ এখন জানেন। এগুলো লিখতে না করছি। এই নির্দেশিকা আগে থেকেই আছে। কিন্তু তা পালিত হচ্ছে না। এবার থেকে যেন ইমিউনো–কম্প্রোমাইজড বা সেরো–পজ়িটিভই লেখা হয়।’

তাঁর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বেঙ্গল নেটওয়ার্ক ফর পিপল লিভিং উইথ এইচআইভি–এইডস সংগঠনের সভাপতি কিশোরকুমার সাউ। তিনি বলেন, ‘বর্ধমানের মতো সব জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদেরই এমন উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। তবেই সচেতনতা বাড়বে।’

 

আরো পড়ুন:– কবে আসবে আপনার মৃত্যু? বলে দিচ্ছে এআই-চালিত ‘ডেথ ক্লক’। কিভাবে? জানলে অবাক হবেন

আরো পড়ুন: সস্তা স্যামসাঙ স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র 6499 টাকার বিনিময়ে, পাওয়া যাবে 50MP Camera এবং 5000mAh Battery

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন