Bangla News Dunia, Pallab : আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha)। খুবই অল্প সময় হাতে রয়েছে এই মুহূর্তে। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। কিন্তু এই আবহেই এবার মাথায় বাজ পড়ল পরীক্ষার্থীদের। অনলাইন পোর্টালের সমস্যার কারণে এখনও মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড হাতে আসেনি অনেক পরীক্ষার্থীর। যার ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা নিয়ে তৈরি হল চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভান্ডারকে টেক্কা! নতুন বাজেটে মহিলাদের জন্য নতুন প্রকল্প। কী কী সুবিধে মিলবে?
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, চলতি বছর থেকেই প্রথম অনলাইন এনরোলমেন্ট পদ্ধতি শুরু হয়েছে। আর প্রথমেই হাজার হাজার ভুল নজরে আসল। মূলত একই নাম হওয়ার কারণে বা পাশে বাবার নাম না থাকার কারণে অ্যাডমিট কার্ডের মধ্যে ভুল আছে। জানা যাচ্ছে, অনলাইনে অ্যাডমিট কার্ডে ফর্ম ফিলাপে ভুল হয়েছে। আর তাই সেই ভুল সংশোধন করতে সল্টলেকের ডিরোজিও ভবনে দ্বারস্থ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
ভুল সংশোধনের উপায় নেই!
এই প্রসঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন যে এবছর যেহেতু প্রথম শুরু হয়েছিল অনলাইন এনরোলমেন্ট পদ্ধতি। সেই কারণেই অনেক ছাত্রছাত্রী অ্যাডমিট কার্ডে নানারকম ভুল রয়েছে। তবে শুধু ভুল নয় কিছু কিছু পরীক্ষার্থী এখনও অ্যাডমিট কার্ড পাননি। একাধিক জেলার প্রায় ৭০ পড়ুয়ার অ্যাডমিটে কার্ডে ভুল অথবা অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছোয়নি। যার ফলে শিক্ষক শিক্ষিকারা ডিরোজিও ভবনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কিন্তু এদিকে ডিরোজিও ভবনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে এইমুহুর্তে এত অল্প সময়ে কোনভাবেই এই ভুল এখন ঠিক করা সম্ভব নয়। আর এই কাণ্ডে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সরাসরি স্কুলগুলিকেই দায়ী করছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দায়ী করল পর্ষদ
অ্যাডমিট বিভ্রাট কাণ্ডে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, একবার নয় মোট তিন-তিনবার অনলাইনে সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড প্রসঙ্গে স্কুল উদ্যোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি। এমনকি বেশ কিছু পড়ুয়ার অস্তিত্বের কথাই জানানো হয়নি পর্ষদকে। সেক্ষেত্রে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দোষী হল স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা। তাঁদের গাফিলতির জন্যই যারা অ্যাডমিট কার্ড পায়নি, তারা পরীক্ষা দিতে পারবে না। কিন্তু অভিভাবকরা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন। এবং যেভাবেই হোক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।