কংগ্রেস আর BJP-র মধ্যে মূল তফাৎ কোথায়? IIT পড়ুয়াদের প্রশ্নে কী জবাব রাহুলের?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

rahul gandhi

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- IIT মাদ্রাজের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেশের শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে আলাপচারিতায় ব্যস্ত ছিলেন। আচমকাই পড়ুয়াদের তরফে রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করা হলো, BJP-র সঙ্গে কংগ্রেসের তফাৎ ঠিক কোন জায়গায়। কী জবাব দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা?

কংগ্রেস এবং BJP-র মধ্যে তফাৎ বোঝাতে গিয়ে রাহুল সম্পদের সঠিক এবং ন্যয্য বন্টন, উন্নয়নের ব্যপ্তি সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করেন। BJP-র তিনগুণ বেশি আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই দুই দলের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক বলে পড়ুয়াদের জবাব দেন তিনি।

রাহুল গান্ধীর কথায়, ‘আমরা মনে করি সমাজ যত ঐক্যবদ্ধ থাকবে, যত বেশি সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় থাকবে, ততই হিংসা কমবে। দেশের উন্নতির জন্য এটাই কাম্য।’ অর্থাৎ BJP সমাজে সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে চায় না, এ কথাই স্পষ্ট বোঝাতে চেয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ।

লোকসভার বিরোধী দলনেতা মনে করেন, শিক্ষার সমান অধিকার প্রয়োজন দেশে। তার জন্য কেবলমাত্র বেসরকারিকরণ কিংবা আর্থিক সাহায্যই যথেষ্ট নয়। উচ্চশিক্ষায় উন্নতি কী ভাবে আনা সম্ভব? IIT মাদ্রাজের পড়ুয়াদের এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, ‘আমার মনে হয় না বেসরকারিকরণ হলেই শিক্ষার সমান অধিকার আসবে। আর্থিক সাহায্য করলে সেখানে সমান অধিকার থাকছে কই? আমি বহুবার বলেছি, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিই দেশের সেরা। শিক্ষাখাতে সরকারকে আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।’

রাহুল গান্ধী জানান, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর একাধিক ক্ষেত্রে অসন্তোষ রয়েছে। তিনি মনে করেন এই খাতে সরকারের মনোভাব অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং সীমাবদ্ধ। পড়ুয়াদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হয়তো তোমরা আমার সঙ্গে একমত হবে না। আমার মনে হয় না এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মতো ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের ভাবনা ও সৃজনশীলতার সঠিক প্রকাশ ঘটাতে পারে।’

গবেষণার ক্ষেত্রে আরও অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘হাতে-কলমে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোই আসল। তা না করতে পারলে ভাবনাচিন্তাও সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।’ এ প্রসঙ্গেই তিনি ২০২২-২৩ সালের ভারত জোড়ো যাত্রার কথা তোলেন। হাজার হাজার শিশুর থেকে তাঁদের স্বপ্ন ও আকাঙ্খার কথা শুনেছিলেন সেই যাত্রায়। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনায় নাম লেখাতে চাওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতা হয়েছিল তাঁর। রাহুল বলেন, ‘তবে এমনটা নয়, দেশের সমস্ত বাচ্চারাই এই চার-পাঁচটি পেশা বেছে নিচ্ছে। আমাদের সিস্টেম যেন তাদের এই পেশাগুলির মধ্যেই বেছে নিতে বাধ্য করছে। বাস্তব একদম অন্যরকম। দেশের ৯০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীর ভাবনাচিন্তা আলাদা। তারা সকলেই IAS-IPS হতে চাইছে না।’

ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার উচিত শিশুদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করার জন্য সঠিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা। এমনটাই মনে করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক বিষয়কে এড়িয়ে যায়। অনেক পেশাকেই গুরুত্ব দেয় না। এই জিনিসগুলিরই পরিবর্তন করতে চাই আমরা।’

আরও পড়ুন:– এখনই কিনবেন না এই সব স্মার্টফোন, দিন কয়েক পরেই কমতে পারে দাম

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন