কঠিন সময় অনেক কিছু শেখায় — আমাদের উচিত শুধু সেটা শেখা ও আগামী প্রজন্ম কে শেখানো

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, সমরেশ দাস : – আজ পুরো মানব সভ্যতা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাছে, সারা পৃথিবী জুড়ে এক মারাত্তক অবস্থা ভাইরাস করোনা কে নিয়ে । জানি এটা এমন একটা সময় যখন অন্য কোনো দিকে মন বা চোখ দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় , যেখানে কাজের লোক আস্তে চাইলেও আমরা বলছি থাক দরকার নেই , রান্না করতে না চাইলেও ঠিক আছে নিজে যা হোক কিছু একটা করে নেবো ।  সত্তি খুব কঠিন সময় এখন , কিন্তু এই কঠিন সময়-এ কিছু ভালো দিক আছে যেটা হয়তো আমরা খেয়ালি করিনি ।

গত একমাসে দূষণ কমেছে , আর সেটা বোঝা যাই যদি সকাল সন্ধ্যা আকাশের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখি কিছু ভিন দেশের পাখিগুলো উড়েযাচ্ছে । আবার এমন কিছু নতুন পাখি রং বেরং এর দেখি যা দেখে ভাবি সত্যি আমরা তো এদের নিয়ে কিছুই ভাবিনা । আজ সকালে যখন একঝাঁক টিয়া পাখি আমার মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলো আমি সেই বাচ্ছাদের মতন মেয়েকে বলে উঠলাম মাম্মাম দেখ কত টিয়া পাখি ।

[ আরো পড়ুন :- দাহ করার লোক নেই, মুখোশ নেই : ইটালি সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ করোনা ভাইরাসে ]

যারা খুব ব্যাস্ত, সময় দিতে পারেন না নিজের কাউকে, তারা সত্যি শিখছেন আবার কি কিরে বাচ্চা কে নিয়ে রান্না বাটি খেলতে , কি করে হামাগুড়ি দেওয়াযায় বা ডিগবাজি খেতে , কি করে ঘোড়া ঘোড়া খেলতে হয় । মা বাবার মাথায় তেল মাখিয়ে দিলে শান্তি পাওয়া যায় । স্ত্রী কে রান্নার সময় হাতে হাতে সব এগিয়ে দিলে ভালোবাসাটা আরেকটু বাড়ে বৈ কমে না । বা youtube দেখে একটা নিউ ডিশ করলে দারুন হয় ।

অনেকের হয়তো রোজ আমিষ না হলে কিছুই খেলাম না সেও আজ নিরামিষ খেয়ে বলছে সত্যি দারুণ হয়েছে , কাল নিরামিশ ই খাবো । একটু নিজের বইয়ের তাক টা গুছাতে গিয়ে সেই ছোটবেলার একটা বই ‘বিক্রম ও বেতাল ‘ খুঁজে পেলাম ব্যাস পড়তে শুরু করে দিলাম আবার । সত্যি ৩০ তা বছর পিছনে চলে গেলাম ।

আজ তো আত্মঘাতী জঙ্গিরা লুকিয়া আছে , মেয়েরা আজ বেশি নিরাপদ , কাশ্মীর শান্ত , সেনাবাহিনী একটু বিশ্রাম নিচ্ছে , হচ্ছে না কোনো অনুপ্রবেশ , যারা এতদিন নাগরিত্ব নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন তারা আজ শান্ত, একেঅপরকে সাহায্য করছেন, মরার আগে কেও রাজি নোই মরতে । চুরি , ডাকাতি সব বন্ধ, আজ তো বিদেশ থেকে এলেও বলছে , না আমি তো দেশের বাড়ি গিয়েছিলাম ।

[ আরো পড়ুন :- পাকিস্তানের কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পের অবস্থা দেখলে আপনি চমকে যাবেন ]

ও আর ভগবান, না না তিনি কিন্তু মন্দির, মসজিদ বা গির্জা তে আটক নন , তিনি তো এখন রাস্তায় নেমেছেন আমাদের কি করে বাঁচাবেন তাই কাজ করছেন ডাক্তার হিসাবে , নার্স হিসাবে, সাফাই কর্মী হিসাবে, পুলিশ হিসাবে । আমাদের কর্তব্য এদের সবার কথা সোনা, এরাই ভগবান ।

সত্যি কঠিন সময় অনেক কিছু শেখায় , আমাদের উচিত শুধু সেটা শেখা ও আগামী প্রজন্ম কে শেখানো ।

আমার বারান্দায় এক জোড়া। ………..

কেমন হলো জানিও আর অন্য কেও পাঠিও

 

 

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন