Bangla News Dunia, সারদা দে :- করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশংকা দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। মার্চের মাঝামাঝি দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার এক মুসলিম ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশ বিদেশ থেকে আসা কয়েকশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ। সেখানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন কাশ্মীরের অন্যজন তামিলনাড়ুর। এর থেকে বাড়ছে আশংকা।
বাকিরা করোনায় আক্রান্ত কিনা জানতে প্রায় ১৭৫ জনের একসাথে বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা চলছে। দেশটিতে এই প্রথম এক সাথে এতজন করোনা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পরীক্ষা চলছে। যদি এই ১৭৫ জনের মধ্যে একাধিক মানুষ যদি সংক্রমিত হন তাহলে এটি বৃহত্তম গোষ্ঠী সংক্রমণ হবে।
[ আরো পড়ুন :- কবর থেকে ভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্ক ]
দিল্লির প্রশাসন সূত্রে জানানো হয় যে চলতি মাসের মাঝামাঝি বাংলাওয়ালী মসজিদে বহু লোকের সমাগম হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালেশিয়া,সৌদি আরব,কিরঘিস্তানের বাসিন্দারা। ঘটনাচক্রে ওই অনুষ্ঠানে যোগদানের পর চলতি মাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনিও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । এছাড়া শ্রীনগরের মৃত ব্যক্তিও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। তার সংস্পর্শে আসা দিল্লী ,দেওবন্দ এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গার ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
[ আরো পড়ুন :- লক ডাউন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের ]
ইতিমধ্যে ওই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী একজন ইন্দেনেশিয় এবং সৌদি আরবের ৬ নাগরিক কে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এতে যোগদানকারী ১২০০ জনকে মসজিদের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮০ জন বিদেশী নাগরিক। তাদের উপরে নজরদারি রাখার জন্য মেডিকেল টীম রাখা হয়েছে।
এছাড়া ওই এলাকায় আরো করোনা আক্রান্ত আছে কিনা সেটা দেখার জন্য মসজিদের পাশেই একটি অস্থায়ী মেডিকেল শিবির করা হয়েছে। দিল্লির ওই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রায় ২০০০ জন কোয়ারেন্টাইন রয়েছেন। এলাকায় পুলিশের নজরদারি ছাড়াও ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে যাতে সবাই লক ডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলে । গোটা এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে।
[ আরো পড়ুন :- ভবানীপুরের অভিজাত আবাসনে আগুন ]
তবে এই নজরদারি সত্ত্বেও প্রশাসনের আশংকা অনেকেই হয়তো কারণে আক্রান্ত। কারণ বহু অতিথি অনুষ্ঠানের পরে দেশের ভিন্ন প্রান্তে চলে গিয়েছিলেন। ফলে তারা কতজনের সংস্পর্শে এসেছেন ,তাদের থেকে কতজন কারণ আক্রান্ত তা খুঁজে বের করা কঠিন। পাশাপাশি এই গোষ্ঠীতে একাধিক করোনা আক্রান্ত হলে গোষ্ঠী সংক্রমণ রাখা মুশকিল হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।