Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কলকাতায় উদ্ধার ক্যান্সার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘জাল ওষুধ’। সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের লেক প্লেসের এক ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার অফিস ও গোডাউনে অভিযান চালায় সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন (সিডিএসসিও)-এর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা এবং ড্রাগস কন্ট্রোল ডিরেক্টরেট পশ্চিমবঙ্গ। এই দুই সংস্থার যৌথ তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ, ডায়াবিটিসের ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়। মূলত এক ওষুধের পাইকারি ব্যবসায়ীর থেকে এই ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই এই অভিযান চলছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই ওষুধগুলি ভেজাল। ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত ওষুধগুলোর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ জনকে। তাঁকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়।পুলিশ ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বাজেয়াপ্ত ওষুধ গুলির বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ। তদন্তের জন্য সেগুলির নমুনার গুণমানগত পরীক্ষা (কোয়ালিটি টেস্টিং)-এর জন্য পাঠানো হয়েছে। বাজেয়াপ্ত বাকি ড্রাগ রাখা রয়েছে সিডিএসসিও-র কাছে। এই ড্রাগগুলি কি ভেজাল? তাই কি বিক্রি করা হচ্ছিল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:– প্যান কার্ড নিস্ক্রিয় হতে চলেছে নতুন বছরে? এইভাবে প্যান কার্ড স্ট্যাটাস চেক করে জানুন
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওষুধগুলির প্যাকেটে আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক, আমেরিকা, বাংলাদেশ ইত্যাদি দেশের নাম থাকলেও সেখান থেকে আমদানি করার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ওই সংস্থা। সে জন্যই ওষুধগুলিকে প্রশাসনিক পরিভাষায় ‘ভেজাল’ বলা হচ্ছে। কিন্তু সে গুলিকে বৈধভাবে আমদানির প্রমাণ স্বরূপ কোনও নথিই দেখাতে পারেনি বিক্রেতারা। আর এর পরেই ওই ড্রাগগুলিকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তদন্তকারীরা। এর পরেই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই ড্রাগগুলি কোথা থেকে আসত, কী ভাবে আসত? সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। সমস্ত নথিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:– লং টার্মে লগ্নি কথা ভাবছেন? ২০২৫ সালে কিনতে পারেন এই ৯ স্টক
আরও পড়ুন:– কেটে গিয়েছে ৪০ বছর, এখন পোড়ানো হবে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার বিষাক্ত বর্জ্য, এতো দেরি কেন ?