Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- হলুদ ট্যাক্সির গায়ে বড় বড় করে লেখা থাকে ‘নো রিফিউজ়াল’। তবু হাঁক দিতেই অমনি ‘না’ শব্দটাই প্রথম কানে আসে। শহরের বুক থেকে হারিয়ে যেতে চলেছে হলুদ ট্যাক্সি। এ চর্চা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে। অ্যাপ-ক্যাবের চাহিদা বৃদ্ধিকেও কারণ হিসেবে বলা হয়েছে। তবে এরইমাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের হলুদ ট্যাক্সির একটি অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন গায়ক সৌমিত্র রায়।
শিল্পী সৌমিত্র রায় ভাগ করলেন তাঁর সম্প্রতি হলুদ ট্যাক্সির অভিজ্ঞতা। বললেন, ‘সাধারণত, বড়বাজার থেকে গল্ফগ্রিন বাসেই ফিরি। সেদিন অনেক জিনিসপত্র ছিল সঙ্গে, তাই ট্যাক্সির প্রয়োজন পড়েছিল। এর আগে অনেক সময় সার্জেনদের বলতেই তাঁরা ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে আমায় তুলে দিয়েছেন। ঠিকমতো পৌঁছেও গিয়েছি গন্তব্যে। কিন্তু সে দিনের ঘটনাটা আমায় ভাবিয়েছে।’
আরো পড়ুন:- চাপে পড়ে নতিস্বীকার, সব ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ইউনূসের, জানতে পড়ুন বিস্তারিত
আরো পড়ুন:- ব্রেন তীক্ষ্ণ রাখতে চান? এই ব্যায়ামগুলিতে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে- বুদ্ধি বাড়বে মস্তিষ্কের
সৌমিত্রর কথায়, গাড়িতে ওঠার পর থেকেই হঠাৎ নানাবিধ কথা বলতে শুরু করেন চালক। একবার নাইট ডিউটি করবেন বলে জানান। কখনও আবার বলেন, গাড়ি গ্যারাজ করবেন। শিল্পীর কথায়, ‘বুঝতেই পারছিলাম ও যেতে চাইছে না। এ দিকে সার্জেনই দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল কিন্তু গাড়িটা। তাঁর কথামতোই উঠেছিলাম। খানিক এগিয়েই দাঁড়িয়ে গেল। বলছে, নামুন আমি যাব না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন কী সমস্যা? তুমি আমায় গাড়িতে তুলে এ ভাবে নামিয়ে দিচ্ছ কেন? সমানে বলে গেল, না আমি যাব না। আবার কখনও বলছে যা করার করে নিন। আমি অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে তুমি ভুল করছো। আমি তোমায় পয়সা তো দেব। কিছুতেই শুনতে নারাজ। অ্যাগ্রেসিভ ছিল ভীষণ।’
গাড়ি থেকে নেমে সার্জেনের কাছে ছুটলেন সৌমিত্র। তাঁকে জানালেন, ‘যে ট্যাক্সিতে তুলে দিয়েছিলেন, সে আমায় প্রায় ঘাড় ধরে নামিয়ে দিয়েছে।’ তবে তাতেও বিশেষ কোনও উপকার হয়নি সৌমিত্রর। কায়দা করে তিনি অবশ্য ট্যাক্সির নম্বর প্লেটের ছবিটা তুলে নিয়েছিলেন।
যদিও একজন চালকের জন্য সমস্ত হলুদ ট্যাক্সি সংগঠনকে দোষ দিতে নারাজ সৌমিত্র। নিজের পুরোনো অভিজ্ঞতা ভাগ করে গায়ক বললেন, ‘সবাই কিন্তু খারাপ হয় না। এর আগে আজ়ম খান নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে আমি পোস্ট করেছিলাম। ৭০ বছর বয়স তাঁর। কিন্তু ওই ব্যক্তির কথা থেকে অনেক কিছু শিখেছিলাম। ভালো-মন্দ মিশিয়েই আমাদের থাকতে হবে। এই লোকটা এমন ব্যবহার করল যে মন খারাপ হয়ে গেল। তারপর ওখান থেকে E1-এ উঠলাম সেদিন। একদম সোজা বাড়ির কাছে এসে টুক করে নেমে পড়লাম। ব্যস, মিটে গেল।’
আরো পড়ুন:- চুপিসারে সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়াল সরকার। ৯ লাখ সরকারি কর্মীর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে নোট