কি এমন হলো, ৪-৫ দিনেই পড়ছে টাক আট থেকে আশির! আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সলমন খানের মতো চিত্র তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তবে চুল উঠে টাক পড়তে বেশ কয়েক বছরের লাগে। কিন্তু যদি বলা হয়, মাত্র ৪-৫ দিনে ঢেউ খেলানো ঘন চুল উঠে গিয়ে টাক পড়ে যাচ্ছে। আর তাও শুধু বুড়োদের নয়, ৮ থেকে ৮০ সকলের। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? এমনই উদ্ভট সমস্যায় পড়েছে মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার তিন-তিনটি গ্রাম।

শেগাঁও মহকুমার কালওয়াড়, বুঁধগাঁও এবং হিংনা গ্রামের অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন অভিযোগ করেছেন, গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের ব্যাপক হারে চুল পড়ে যাচ্ছে। পুরুষ, মহিলা এবং শিশু নির্বিশেষে এই ঘটনা ঘটছে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৪-৫ দিনের মধ্যেই সমস্ত চুল পড়ে গিয়ে টাক পড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় এই অস্বাভাবিক চুল পড়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

আচমকা এই চুল পড়ার নেপথ্যে কোনও নির্দিষ্ট রোগ আছে, না, অন্য কোনও কারণ দায়ী, তা এখনও রহস্যই থেকে গিয়েছে। এ দিকে চুল পড়া নিয়ে শুধু ওই তিনটি গ্রামে নয়, গোটা জেলা জুড়েই উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন:– নতুন বছরে সুখবর! সবার অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে ঢুকবে 9000 টাকা পেনশন।

গত রবিবার থেকে তাঁর মুঠো মুঠো চুল উঠছে বলে, দাবি করেছেন স্থানীয় এক বৃদ্ধা। একটি ছোট ব্যাগে তিনি তাঁর উঠে যাওয়া চুলগুলি সংগ্রহ করে রাখছেন। গত ১০ দিন ধরে একই ভাবে চুল পড়ে গিয়েছে ওই এলাকার এক যুবকেরও। তিনি জানিয়েছেন, শুধু চুল নয়, তাঁর দাড়ি-গোঁফও পড়ে যাচ্ছে। তিন গ্রামের চুল পড়ে যাওয়া অনেকেই মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি শিশুর চুল ধরে টানতেই, উঠে আসছে গোছা গোছা চুল।

একের পর এক আকস্মিক চুল পড়ার রিপোর্ট পাওয়ার পর, নড়ে-চড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মঙ্গলবার বুঁধগাঁও, কালওয়াড় এবং হিংনা গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা। শেগাঁওয়ের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপালি বাহেকর জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে এবং এই ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার জন্য রোগীদের পরীক্ষা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:– 15 হাজারে আধার কার্ড, 5 হাজারে প্যান ! বাংলাদেশিদের নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে শ্রীঘরে ল’ক্লার্ক

প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী দলটি মনে করছে জলেই কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে। দলে ছিলেন এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি জানয়েছেন, তিনটি গ্রাম থেকেই জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। রোগ নির্ণয়ের জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাথার ত্বকের বায়োপসিও করা হবে।

জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অমল গীতে বলেছেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রাথমিক তদন্তের জন্য গ্রামে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন মহামারী বিশেষজ্ঞকে পাঠিয়েছিলাম। প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় মাথার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ থেকে চুল পড়ে যায়। জলে ভারী ধাতু মিশে আছে কিনা, আমরা তাও পরীক্ষা করে দেখব। ভারী ধাতু ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। আমরা ২ থেকে ৪ জন রোগীর ত্বকের নমুনা নিয়ে মাইক্রোস্কোপির জন্য আকোলা মেডিকেল কলেজে পাঠাচ্ছি।’

ডাঃ অমল গীতে আরও জানিয়েছেন জলের নমুনা পরীক্ষা ও বায়োপসি রিপোর্ট পেতে দুই-তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে এই রহস্যজনক চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।

আরও পড়ুন:– ছয় থেকে বারো মাস বয়সি শিশুকে কীভাবে খাওয়াবেন ? টিপস দিলেন ডায়েটিশিয়ান

 

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন