Bangla News Dunia, দীনেশ :- ৯৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও তিন বছরের চেতনাকে রাজস্থানের কোটওয়ালে ৭০০ ফুট গভীর কুয়ো থেকে উদ্ধার করা যায়নি। রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা উদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ। শেষ চেষ্টা হিসাবে এবার মাঠে নামলেন দক্ষ খনি-শ্রমিকরা। নিষিদ্ধ ‘র্যাটহোল মাইনিং’ অর্থাৎ ইঁদুর-গর্ত খনন পদ্ধতিতে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করবেন তাঁরা।
কী এই ‘র্যাটহোল মাইনিং’? কেনই বা খনিতে তা নিষিদ্ধ ? আসলে এই পদ্ধতিতে ইঁদুরের কায়দায় সংকীর্ণ গর্ত খুঁড়ে অভীষ্ট খনিজদ্রব্য তুলে আনা হয়। এককালে খনি থেকে আকরিক উত্তোলনের কাজে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হত। শাবল-গাঁইতি দিয়ে খুব সংকীর্ণ গর্ত খুঁড়ে এগোতেন শ্রমিকরা। তবে এই প্রক্রিয়া বেশ বিপজ্জনক। কারণ, এই পদ্ধতিতে খোঁড়াখুঁড়ির জেরে ধস নামার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে ২০১৪ সাল থেকে ‘র্যাটহোল মাইনিং’ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও গত বছর নভেম্বরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য নিষিদ্ধ র্যাটহোল পদ্ধতিরই আশ্রয় নিতে হয়েছিল প্রশাসনকে। এবার রাজস্থানের রাজপুত শিশু চেতনাকে উদ্ধারের কাজেও সেই পদ্ধতিই নেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন :- ফোন ধরলেই সর্বনাশ ! এই নম্বরগুলি থেকে কল আসলে ভুলেও তুলবেন না
রাজ্যের কোতপুতলি জেলার সরুন্ড এলাকায় সোমবার দুপুরে খেলতে খেলতে ৭০০ ফুট গভীর একটি খোলামুখ কুয়োতে পড়ে যায় তিন বছরের চেতনা। কিন্তু কুয়োর মুখ অত্যন্ত সংকীর্ণ হওয়ায় সমস্যায় পড়েন উদ্ধারকারীরা। এরপরেই র্যাটহোল মাইনারদের ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন :- ভয়ঙ্কর যুদ্ধ কি আসন্ন ? পাক সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে ১৫ হাজার তালিবান সেনা