Bangla News Dunia , Pallab : ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার অধিকার আইনে ব্যাপক বদল এনে জানিয়েছিল, দেশের সব প্রান্তে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পাশ ফেল উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বুনিয়াদি শিক্ষার দৌলতে। এতদিন পর্যন্ত ‘নো ডিটেনশন নীতি’ ছিল। তবে এবার পড়ুয়াদের বুনিয়াদি শিক্ষার বিষয়টি আরও সুনিশ্চিত করতে সেই শিক্ষার অধিকার আইন পাঁচ বছর পর বদলাতে চলেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ কেন্দ্রের নয়া পাশ-ফেল নীতি কার্যকর হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের ৩০০০-এরও বেশি স্কুলে।
আরো পড়ুন :- বাংলাদেশের মন্দিরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুরোহিতের দেহ উদ্ধার, ইউনূসের নিন্দায় ইসকন
কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা
শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির কোনও পড়ুয়া পরীক্ষায় যদি সাফল্য না অর্জন করে তাহলে তাঁকে ফের দ্বিতীয়বার পাশ করবার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে। সেই পরীক্ষাটি ফলাফল বেরোনোর পর দুই মাসের মধ্যে হবে। কিন্তু অকৃতকার্য পড়ুয়া যদি দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও সফল না-হয় তাহলে তাকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে না বলে শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গত বছর দিল্লির সরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘নো ডিটেনশন নীতি’ অপসারণের পরে পরীক্ষার ফলাফলে অত্যন্ত জঘন্য ছিল। ৪৬৬২২ জন অষ্টম শ্রেণিতে ফেল করে। তা থেকেই কার্যত পরিষ্কার শিক্ষার মান কতটা তলানিতে পৌঁছেছিল। আর তার জেরেই এই উদ্যোগ।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশি শিক্ষামহলের একাংশ। অনেকে মনে করছে পাশ-ফেল চালু হওয়ার ফলে লেখাপড়ার মান উন্নত হবে। এতে শিশুরা মনোযোগী হবে। তবে এই নীতিতে স্কুলের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে নতুন ভাবে দেখছে না বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য দাবি তুলল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী?
সোশ্যাল মিডিয়ার এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, “ ইতিমধ্যেই ২০১৯ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে স্কুল শিক্ষা দফতর পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে মুল্যায়ন করে আসছে। তাই সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই নয়া উদ্যোগ আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে আমাদের এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া আরও বেশি যুক্তিপূর্ণ এবং বিস্তারিত কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায়। আপনাদের সহজে বোঝানোর জন্য আমি নোটিফিকেশনটা যুক্ত করলাম। এগিয়ে বাংলা।”
আরো পড়ুন :- Big News :- এবার ট্রুডোর সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি খালিস্তানী নেতার !