Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বাজেটের ‘লক-ইন পিরিয়ড’। শেষ হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ‘হালুয়া সেরেমনি’। এই সময়ে বাজেট লিক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর সে কারণেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় দিল্লির নর্থ ব্লক। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় ‘লক-ইন পিরিয়ডে’? কী ভাবে ১৯৫০ সালে নিরাপত্তার বেড়াজাল কেটে লিক হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাজেট?
মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা সীতারামন। এ নিয়ে অষ্টমবার বাজেট পেশ করবেন তিনি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এখনও পর্যন্ত ছ’টি বার্ষিক এবং দু’টি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছেন নির্মলা।
আরও পড়ুন:– ভরসা কমছে মিউচুয়াল ফান্ডে ! ডিসেম্বরে বন্ধ হয়েছে 45 লক্ষ SIP অ্যাকাউন্ট, রইলো বিস্তারিত
বাজেট লিক আটকাতে কী বন্দোবস্ত?
দিল্লির নর্থ ব্লকের বেসমেন্টে ছাপানো হয় কেন্দ্রীয় বাজেট। সরকারের এই প্রেসে বাজেট ছাপানোর সময়ে উপস্থিত থাকেন অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা। তবে প্রত্যেকবার যে একই নিয়ম পালন করা হয় তেমনটা নয়। বাজেট নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে একাধিকবার বদল আসে ছাপার পদ্ধতিতে।
যে সকল সরকারি আধিকারিকরা বাজেট ছাপার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাঁদের কার্যত ‘কোয়ারান্টাইন’ করে রাখা হয়। ‘লক-ইন পিরিয়ড’-এর মধ্যে তাঁরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। সংসদে বাজেট পেশ না হওয়া পর্যন্ত ‘লক-ইন পিরিয়ড’-এ নর্থ ব্লক থেকে বেরোতে দেওয়া হয় না তাঁদের।
১৯৫০ সালে কী ভাবে লিক হয় বাজেট?
১৯৫০ সালে বাজেট লিক হয়ে গিয়েছিল। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের মিন্টো রোডের প্রেস থেকে লিক হয়ে গিয়েছিল সে বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট। এই ছাপাখানা থেকেই তত দিন পর্যন্ত বাজেট ছাপানো হতো। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন জন মাথাই। স্বাধীন ভারতে তিনি দু’বার বাজেট পেশ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। নামজাদা প্রথম সারির ব্যক্তিত্বের প্রভাবে পড়ে বাজেট তৈরির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। বাজেট লিক হওয়ার বার বার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। বাজেট পেশের পরই প্ল্যানিং কমিশনের বিরোধিতা করে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। সেই ঘটনার পর আরও গোপন স্থানে বাজেট ছাপার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৮০ সাল থেকে নর্থ ব্লকের বেসমেন্টে সরকারি ছাপাখানায় বাজেট মুদ্রণের প্রক্রিয়া শুরু হয়