ক্রেডিট কার্ডের বকেয়ায় ৩০% বেশি সুদ, সুপ্রিম কোর্টের রায় ব্যবহারকারীদের উপর কী প্রভাব ফেলবে? জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া টাকার উপর ৩০ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক। ন্যাশনাল কনজ়িউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশনের ১৬ বছরের পুরনো রায় খারিজ করে এমন রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, এই ধরনের চার্জ নেওয়া মোটেই ‘আনফেয়ার ট্রেড প্র্যাকটিস’ নয়। বরং, তা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে পড়ে।

২০০৮ সালের ৭ জুলাই এনডিসিআরসি-র রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিটিব্যাঙ্ক, আমেরিকান এক্সপ্রেস, এইচএসবিসি এবং স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাঙ্ক। সেই রায়ে জানানো হয়েছিল, ক্রেডিট কার্ডে ৩৬ থেকে ৪৯ শতাংশ সুদ ধার্য করা ঋণগ্রহীতার ওপর এক ধরনের জুলুম। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে, ব্যাঙ্কগুলি যদি আরবিআই-এর গাইডলাইন অনুযায়ী এই পরিমাণ সুদ চাপায় তাহলে তাতে কোনও আইনি বাধা নেই। কোনও ব্যক্তি যখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তখন তিনি এ সংক্রান্ত শর্তাবলী জেনেই করেন। এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ক্রেডিট কার্ড হোল্ডাররা যথেষ্ট শিক্ষিত এবং নিজেদের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারেও তাঁরা অবহিত।’

আরো পড়ুন: স্টেট ব্যাংকে নতুন করে ৬০০ টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ চলছে! মাসিক বেতন ৪৮,০০০ টাকা, শীঘ্রই আবেদন করুন

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের উপর প্রভাব

এই রায়ের পর ক্রেডিট কার্ডের ডিউ বা বকেয়া অ্যামাউন্টের উপর উচ্চহারে কর চাপাতে পারবে দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তাই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটির পর ঠিক সময়ে বিল মেটানোর বিষয়ে জোর দিতে হবে ব্যবহারকারীদের। ঠিক সময়ে বকেয়া না মেটাতে পারলে অতিরিক্ত অর্থ সুদ হিসাবে দিতে হবে। তাই ধার করলেই হবে না। সময়ে ধার শোধের বিষয়টি নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। সু্প্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর ঋণখেলাপিদের সমস্যা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে শর্তাবলীর বিষয়ে ব্যাঙ্কের থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

আরো পড়ুন: কেন ভারতের অর্থনীতির উন্নয়নের ‘গুরুঠাকুর’ বলা হয় মনমোহন সিং-কে ? জানুন বিস্তারিত

আরো পড়ুন:  কংক্রিটের থেকেও শক্ত অংশ রয়েছে প্রতিটি মানুষের শরীরে, কোথায় জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন