গ্রামের জঞ্জাল সংগ্রহে দারুন পদক্ষেপ রাজ্যের, বিস্তারিত জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

CM-Mamata

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দ্রুত বদলাচ্ছে গ্রাম বাংলার পরিবেশ। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাতেও চোখে পড়ছে সুদৃশ্য পাকাবাড়ি। তৈরি হচ্ছে নতুন কলকারখানা, সুপার মার্কেট। ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে নলবাহিত জল। ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনেকখানি বদলে গিয়েছে। তার সঙ্গে সাজুয্য রেখে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় জঞ্জাল সাফাই ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটাতে চাইছে রাজ্য সরকার।

নবান্ন সূত্রের খবর, শহরের মতো এ বার গ্রামের দিকেও বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ পুরোদমে শুরু হবে। সেই জঞ্জালকে রিসাইকল করে জৈব সার, প্লাস্টিক–সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উৎপাদন করা হবে। এই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করতে শিগগিরই পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর।

রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘পঞ্চায়েত এলাকায় জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করতে আধুনিক পরিকাঠামো গড়া হবে। বর্তমানে স্থানীয় ভাবে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কিছু কিছু জায়গায় জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সেটাকে আরও সুদৃঢ় করতে চাইছি আমরা। এ জন্যই কনসালট্যান্ট নিয়োগ করছি। তারা পুরো বিষয়টি দেখভাল করবে। প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করবে।’

আরও পড়ুন:– সুখবর! চিটফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে! কারা ও কিভাবে টাকা পাবেন? জেনে নিন

পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় জঞ্জাল (সলিড অ্যান্ড লিকুইড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট) অপসারণে একটি সংস্থাকে কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ করা হবে। গ্রামে কী ভাবে জঞ্জাল অপসারিত হবে, তার একটা ব্লু–প্রিন্ট তৈরি করবে তারা। সেইমতো রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। পঞ্চায়েত এলাকায় তৈরি হবে ওয়েস্ট রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট। তার জন্য যে খরচ হবে, সেই টাকা কী ভাবে জোগাড় হবে সেই উপায়ও বাতলে দেবে তারা।

পঞ্চায়েত দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, আইএসজিপি প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জঞ্জাল অপসারণের কাজ শুরু হলেও পরিকল্পনার অভাবে অনেক জায়গায় সেটা থমকে গিয়েছে। টাকার অভাবে বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য বাসিন্দাদের থেকে প্রতি মাসে একটা ন্যূনতম ফি আদায় করা হতো। সেটাও অনেকে দিতে চাইছেন না। ফলে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে সমস্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে।

অনেক পঞ্চায়েত তা বহন করতে না পারায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট। সব মিলিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে গ্রামের জঞ্জাল সাফাই ব্যবস্থা। ফলে গ্রামে যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলার প্রবণতা বাড়ছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বাড়ার পিছনে এটা অন্যতম বড় কারণ। নবান্নে ডেঙ্গি বৈঠকে এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এই সমস্যা মেটাতে গ্রামের জঞ্জাল সাফাই ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

আরও পড়ুন:– মোবাইলে ভুয়ো ফোন বা মেসেজ এলে কী করা উচিত? জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন