চতুর্থ প্রচেষ্টায় ইসরো কৃত্রিম ২ উপগ্রহকে জুড়ল মহাকাশে, বিস্তারিত জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পরস্পরের দূরত্ব ছিল মাত্র ১৫ মিটার। ওই অবস্থা থেকে ক্রমশ কাছাকাছি আসছিল ‘টার্গেট’ আর ‘চেজ়ার’। দূরত্ব ক্রমে কমে আসছিল দুইয়ের মধ্যে। তার পর সেই দূরত্ব কমে হলো তিন মিটার। আর সেই সময়েই চরম সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তখন টার্গেট আর চেজ়ার ঘণ্টায় মাত্র ১০ মিলিমিটার গতিতে একে অন্যের দিকে এগোতে শুরু করল। তার পরেই এল সেই ‘হ্যান্ডশেক মোমেন্ট’। জুড়ে গেল এসডিএক্স০১ এবং এসডিএক্স০২। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৭৫ কিলোমিটার উপরে, মহাকাশে দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে এসে তাদের ‘জুড়ে দেওয়ার’ প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত সফল হলো ইসরো।

বৃহস্পতিবার সকালে ইসরো–র এক্স হ্যান্ডলে এই সাফল্যের কথা পোস্ট করে সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অতীতে এমন গবেষণা চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে মাত্র তিনটি দেশ। ইউএসএ, রাশিয়া এবং চিন। এ বার সেই তালিকায় নাম উঠল ভারতেরও।

আরও পড়ুন:– ফিক্সড ডিপোজিট করবেন? ব্যাংকের এই নতুন নিয়ম জানুন! এইভাবে দ্বিগুণ রিটার্ন পাবেন

এর আগে ভারত অবশ্য তিন বার এমন চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে সেই তিন বার সাফল্য আসেনি। শেষ পর্যন্ত সাফল্য এল চতুর্থ প্রচেষ্টায়। মহাকাশে এ ভাবে একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহকে জুড়ে দেওয়ার পদ্ধতির বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘ডকিং’। ইসরোর এই গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘স্পেস ডকিং সিস্টেম’ বা স্পেডেক্স।

দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাশূন্যে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রিত গতিতে পরস্পরের কাছে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত তাদের জুড়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় সাফল্যকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। ইসরো–র পরিকল্পনা রয়েছে, আগামী দিনে মহাকাশে ভারতের নিজস্ব একটি স্পেস স্টেশন তৈরি করার। তার নাম হবে ‘অন্তরীক্ষ স্পেস স্টেশন’। তবে এই ডকিং পদ্ধতিতে দক্ষতা অর্জন না–করলে স্পেস স্টেশন তৈরিই করা যাবে না।

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন