Bangla News Dunia, Pallab : প্রতিরক্ষা খাতে বিশ্বের আর পাঁচটা উন্নত দেশের মত ভারতও অনেকটাই এগিয়ে। একদিকে যেমন প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিবছর বিপুল বাজেট থাকে তেমনি অত্যাধুনিক অস্ত্রেরও আবিষ্কার হয়েছে। বিশেষ করে ‘ব্রহ্মোস মিসাইল’ সকলকে চমকে দিয়েছিল। এবার জানা যাচ্ছে এই মিসাইল বিদেশে কয়েক হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করতে চলেছে ভারত। সম্প্রতি একটি ৩৮০০ কোটি টাকার অর্ডারও কমফার্ম হওয়ার পথে।
ভারতের ব্রহ্মোস মিসাইল
DRDO এর তৈরী ‘ব্রহ্মোস’ হল একটি মিডিয়াম রেজ্ঞ রামজেট সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল যেটা সাবমেরিন, জাহাজ থেকে শুরু করে ফাইটার প্লেন সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। এটি রাশিয়ার সাথে যৌথ উদ্যোগে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বানানো হয়েছিল। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার সাথে প্রায় ৩৮০০ কোটি টাকার একটি ব্রহ্মোস মিসাইলের অর্ডার কনফার্ম হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই অর্ডারটি দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও উন্নত করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:– টানা ৫ দিন দাম বেড়েছে, এ সপ্তাহেও নজর থাকুক এই ৭ স্টকে
৩৮০০ কোটির অর্ডার পাওয়ার পথে ভারত
সম্পত্তি ২৬শে জানুয়ারি উপলক্ষে ভারতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো আমন্ত্রিত ছিলেন। রবিবার তিনি ব্রহ্মোস এরোস্পেসের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করেন। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার নেভি চিফ অ্যাডমিরালের সাথে ব্রহ্মোস মিসাইলের ক্ষমতা ও সেটি কিভাবে যে মাটিতে, সমুদ্রে ও আকাশে কাজ করতে সক্ষম সেটা সম্পর্কে জানতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই পরিদর্শনের সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এরপরেই ৩৮০০ কোটি টাকার অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কীভাবে তৈরী হয় ব্রহ্মোস মিসাইল?
রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরী হয় ব্রহ্মোস। এই মিসাইল ২.৮ ম্যাক পর্যন্ত স্পিডে টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম। ২৯০ কিমি থেকে শুরু করে ৫০০ কিমি রেঞ্জের মধ্যে থাকা বস্তুকে এই মিসাইলের দ্বারা টার্গেট করা যেতে পারে। ভারত ও রাশিয়ায় প্রতিরক্ষা খাতে এই মিসাইল ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি এটি বিভিন্ন দেশে বিক্রিও শুরু হয়েছে। ২০২২ সালেই ফিলিপিন্সের সাথে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি হয়েছে ব্রহ্মোস মিসাইল এক্সপোর্ট করার জন্য।
প্রসঙ্গত, এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসে ইন্দোনেশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভারতে আসায় দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সাপ্লাই চেন আরও উন্নত করা হবে বলে আশ্বাস মিলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফ থেকেও। এই চুক্তির মাধ্যমে ইন্দো-পেসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা যেমন সুনিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।