Bangla News Dunia , Rajib : রাসায়নিক প্রয়োগে চিনিকে গুড়ের রংয়ে বদলে ফেলা হচ্ছে। সেই বদলে ফেলা চিনিই রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশে। মোথাবাড়ি এলাকায় এই ধরনের শতাধিক বেআইনি কারখানা গড়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে চিনি রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও কিছু ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে এই পথেই মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে চিনি পাচার করছেন বলে অভিযোগ। ওই বেআইনি কারখানাগুলির জন্য এলাকায় পরিবেশ দূষণও হচ্ছে।
বিরোধীদের বক্তব্য, কালিয়াচক-২ ব্লকে সম্প্রতি একাধিক এরকম গুড় কারখানা গজিয়ে উঠেছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিনি এনে সেখানে রাসায়নিক পদ্ধতিতে গুড়ের রং লাগানো হয়। মমতাজ শেখ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ওই ব্যাপারে খাদ্য ও পরিবেশ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনও ফল পাননি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুড় কারখানাগুলি সাময়িক বন্ধ হলেও পরে খুলে যায়।
আরো পড়ুন:- রোজভ্যালির টাকা দেওয়া শুরু, আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকল? এভাবে সহজে আবেদন করলেই মিলবে টাকা
কালিয়াচক-২ ব্লকের গঙ্গাপ্রসাদ আর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২৩টি এহেন গুড় কারখানার মালিক সহ প্রায় ৯০০ জন সোমবার তৃণমূলে যোগ দেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল ওই বেআইনি কাজকে সমর্থন করেছে। কারণ, এই গুড় কারখানাগুলি পুরোপুরি বেআইনি। সোমবার মোথাবাড়ির মেহারাপুর হাইস্কুলে এক যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানে সিপিএম ও বিজেপির একাধিক কর্মী ঘাসফুলে যোগদান করেন বলে দাবি দলীয় নেতৃত্বের। ওই মঞ্চে গুড় কারখানার মালিকদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সী প্রমুখ। স্থানীয়দের দাবি, বেআইনি কারখানাগুলি চালিয়ে যেতেই মালিকরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য সায়েম শেখ-এর বক্তব্য, ‘এই জেলায় আইনের শাসন নেই। সমস্ত গুড় কারখানা চলছে বেআইনিভাবে। নিজেদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই মালিকরা তৃণমূলে গিয়েছে।’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের দাবি, ‘ওই গুড় কারখানার মালিকদের বেআইনি কাজ বহাল রাখতেই টাকা নিয়ে তাদের দলে ঢুকিয়েছে তৃণমূল।’ যদিও মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ‘এরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এদের অনেকেই কংগ্রেসের বড় নেতা। তাই দলের স্বার্থে তাদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়নি। তবে কেউ বেআইনিভাবে কাজ করলে প্রশাসনিকভাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
আরো পড়ুন:- ‘প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে’, দেশবাসীর উদ্দেশে বিবৃতি আওয়ামি লিগের
মোথাবাড়ি থানার ওসি কুণালকান্তি দাস জানান, ‘বিষয়টি দেখে খাদ্য দপ্তর। পুলিশের দেখার কথা নয়। খাদ্য দপ্তর আমাদের কিছু জানালে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি শুল্ক বিভাগের অধীনে। যদিও গোটা প্রক্রিয়ায় একাধিক বিভাগ জড়িত। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসনিক মহলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
#End