ছাত্র এক জন, শিক্ষক দু’জন, কোথায় রয়েছে এমন আজব স্কুল, জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পড়ুয়া মাত্র ৬ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন দু’জন। সুন্দর স্কুলবাড়ি। ক্লাসরুমও বেশ ভালো। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, এই অনুমান করে এলাকার লোকজন ছেলে মেয়েকে পাঠাতে চায় না। এমনই চিত্র অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাগরিক শিক্ষা সঙ্ঘ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। কারণ নিয়ে ধন্দ রয়েছে, নানা মতামতও রয়েছে-কিন্তু চিত্র এমনই। স্কুলে ঢুঁ মেরে দেখা গেল এমনও হয়েছে, ক্লাসে এক জন ছাত্র বসে আর দু’জন শিক্ষক।

১৯৫২ সালে স্থাপিত হয় নাগরিক শিক্ষা সংঘ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। হাবরা-২ ব্লকে এই স্কুল। এক সময় শিশুদের কলতানে মুখর হয়ে থাকত স্কুল ক্যাম্পাস। ১৫০-২০০ বাচ্চা ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে খুবই খারাপ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে স্কুলটির। একজন শিক্ষক, একজন শিক্ষিকা আছেন। যদিও ওই শিক্ষক প্রসেনজিৎ ঘোষ আবার অন্য স্কুলের। ২০১০ সালে আগের এসআই স্থানীয় আদর্শ জুনিয়র বেসিক স্কুল থেকে এই স্কুলে পাঠান তাঁকে।

খাতায়-কলমে এখন এই স্কুলে ৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। কোনও দিন দু’জন স্কুলে আসে, কোনওদিন আবার চার জন। একসঙ্গে সকলকে পাওয়া মুশকিল, মানছেন ওই শিক্ষক প্রসেনজিৎ ঘোষ। শিক্ষিকা লিলি দাস বলেন, ‘৫টা ক্লাস, অন্তত ৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা তো থাকবে। না হলে ক্লাস হবে কী ভাবে? পাশে প্রাইভেট স্কুল। বাবা, মা সেখানে পাঠাচ্ছেন।’

শিক্ষক প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, গত বছরও বেশ কিছু বাচ্চা ছিল। এ বার একেবারেই ফাঁকা। বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। আইসিডিএস-এও যোগাযোগ করেছেন। তার পরও কেউ আসেনি। স্থানীয় কাউন্সিলর এই স্কুলেরই প্রাক্তনী। প্রসেনজিৎ জানান, তিনিও আন্তরিক ভাবে চাইছেন স্কুলের উন্নতি হোক। কিন্তু অভিভাবকদের একটাই দাবি, শিক্ষক বাড়লে বাচ্চা পাঠাবে। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর তারক দাস জানান, নতুন এসআই এসেছেন। তাঁর শৈশবের স্কুলের হাল ফেরাতে তিনি চিঠি দিচ্ছেন এসআইকে।

আরো পড়ুন:- মাশরুমের উপকারিতা জুরি মেলা ভার ! কি জানালেন পুষ্টিবিদ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন