জন্ম থেকে দৃষ্টিহীন ভুল্লু, অথচ নদীতে ডুবতে থাকা ১৩ জনকে বাঁচিয়েছেন তিনি, কীভাবে ? জানতে পড়ুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- তিনি জন্মান্ধ। কিন্তু কী এক অদ্ভুত শক্তি রয়েছে ভুল্লু সাহানির। বিহারের সমস্তিপুরের ভুল্লু চোখে দেখতে পান না, অথচ কোনও এক অদৃশ্য শক্তির বলে জলে ডুবে যাওয়া মানুষের ত্রাতা হয়ে ওঠেন তিনি। সমস্তিপুরের পাতোরি ব্লকের দমদমায় বাড়ি এই জল-যোদ্ধার।

ভুল্লু জানান, তিনি দেখতে পান না বলেই হয়ত ঈশ্বর তাকে উপহার হিসাবেই এই শক্তি দিয়েছেন। এখনও অবধি ১৩ জন ডুবতে ডুবতে বেঁচেছেন শুধুমাত্র ভুল্লু পাশে ছিলেন বলে। গঙ্গা, বুড়ি গণ্ডক, বাগমতী, কমলা নদী থেকে একাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছেন তিনি। ১৪টি দেহও টেনে তুলেছেন তিনি।

কিন্তু কী ভাবে এটা সম্ভব? ভুল্লু জানান, তিনি যখন ছোট, তাঁর বাবা কাইলু সাহানি তাঁকে সাঁতার শেখান। মাছ ধরাও শিখেছেন বাবার কাছ থেকে। রীতিমতো সাঁতারের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভুল্লু। সেখানেই শিখেছেন কী ভাবে জল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হয় এবং অন্যের ত্রাতা হতে হয়।

আরও পড়ুন:– ওভারহেড ইলেকট্রিক তারের ওপর শুয়ে পড়েও অদ্ভুত রক্ষা যুবকের, কিভাবে সম্ভব ?

মাঝি পরিবারের ছেলে ভুল্লুর নাকি সাঁতারের কায়দাই আলাদা। অনেকে বলেন, ভুল্লু যেহেতু চোখে দেখতে পান না, তাই কোনও ভয়ও তাঁকে ছুঁতে পারে না। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ভুল্লু বলেন, ‘আমি দেখতে পাই না। কিন্তু জলে নামলেই আমার কোনও এক ইন্দ্রিয় যেন প্রখর হয়ে ওঠে। আমি দেখতে না পেলেও ডুবে যাওয়া কোনও মানুষের কাছে কী ভাবে যেন ঠিক পৌঁছে যাই।’

উদ্ধারকারী হিসাবে কখনও দেড় হাজার কখনও বা দু হাজার টাকা করে নগদ পুরস্কারও পেয়েছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জাগো দেবী জানান, দমদমায় কেউ জলে ডুবে গেলে ভুল্লু কখনও উদ্ধার কাজে কাউকে নিরাশ করেননি।

আরও পড়ুন: ২০২৫-এ কেমন হবে ভারতের সঙ্গে রসায়ন? জানালেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান

আরও পড়ুন:– বিমানযাত্রীদের জন্য সুখবর, ডোমেস্টিক ফ্লাইটেও মিলবে Wi-Fi পরিষেবা, কিভাবে এই সুবিধা পাবেন ? জানুন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন